দিনে কাজ করতে হবে মাত্র ৬ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এর জন্য প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লাখ টাকা। কিন্তু এরপরও লোক পাওয়া যাচ্ছে না।
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও শ্রমিকের অভাবে এমন ঘটনারই সাক্ষী হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দেশটির লেবু চাষীরা। গত ১ জুলাই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনে মাত্র ৬ ঘণ্টা কাজের জন্য শ্রমিক খোঁজা হচ্ছে। কাজ গাছ থেকে পাকা লেবু তুলতে হবে। কিন্তু সেই কাজের জন্য পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় লেবু চাষের সঙ্গে যুক্তদের।
আর তাই অস্ট্রেলিয়ার এক সংসদ সদস্য এই কাজে এগিয়ে আসতে কর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সেই আইনপ্রণেতার পোস্টে সাড়াও মিলেছে প্রচুর। কিন্তু কাজ করার জন্য কর্মী তেমন মেলেনি। কর্মীর অভাবেই প্রচুর লেবু পড়ে নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই এমপি।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য অ্যানি ওয়েবস্টার জানিয়েছেন, লেবুর ফার্মে প্রচুর পাকা লেবু মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ টাকা নষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওই আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘সানরেশিয়ার লেবু উৎপাদকরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ভালো লেবু বাজারে পাঠাতে হবে। লেবুর উৎপাদনেও কমতি নেই। গাছে লেবু হয়েছে প্রচুর। কিন্তু সেই লেবু তুলে বাজারের পাঠানোর জন্য লোকের অভাব। পাকা লেবু মাটিতে পড়ে গেলে সবটাই নষ্ট।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘লেবু তোলার কাজে প্রতিদিন ২২৫ ইউরো করে পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ৪ হাজার ৪০০ ইউরো বেতন দেওয়া হবে।’ বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা।
অ্যানি ওয়েবস্টার আরও জানিয়েছেন, লেবু চাষে এ রকম কর্মীর অভাব তিনি প্রথম বার দেখছেন। বাইরের প্রায় ২১ হাজার কর্মী রয়েছে দেশে। কিন্তু তারা অন্য কাজে নিযুক্ত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণেই বাইরে থেকে কর্মীরা আসতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায়। আর মূলত এই কারণেই কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন ওই সংসদ সদস্য।