১৯১২ সালে আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লাগার পর টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল। সাগর বা মহাসাগরে লোনা পানির বিশাল বরফখন্ডকে আইসবার্গ বলা হয়ে থাকে। হিমবাহ থেকে আইসবার্গ এর জন্ম হয়ে থাকে। আজকের আর্টিকেলে আইসবার্গ নিয়ে চমৎকার সব তথ্য আপনাদের জন্য তুলে ধরা হবে।
হিমবাহ বেশি রয়েছে এন্টারটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডে। এজন্য ওইসব অঞ্চলের সমুদ্রে আইসবার্গের সংখ্যা অনেক বেশি। হিমবাহ থেকে বিশাল বিশাল আইসবার্গ এর জন্ম হয় এবং তা সাগরে আশ্রয় নেয়। ১৯৫৬ সালে ৩১ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি আইসবার্গ আবিষ্কার করা হয়।
এই আইসবার্গ বেলজিয়ামের থেকেও আয়তনে বড় ছিল। এন্টার্কটিকার হিমবাহ থেকে এই আইসবার্গের জন্ম হয়েছিল। অনেক সময় ছোট আকারের আইসবার্গ দেখতে পাওয়া যায়। এদের ওজন গড়ে ১ হাজার ২৫ কেজি এর মত হয়ে থাকে।
আরো একটি চমকপ্রদ এর বিষয় হচ্ছে যে, একটি আইসবার্গের ১০ ভাগের ১ ভাগ সমুদ্রের উপরে ভেসে থাকে। আর বাকি ৯ ভাগ থাকে সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। তারমানে আমরা যা দেখতে পাই তা মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ।
সবথেকে উঁচু আইসবার্গের উচ্চতা হচ্ছে ১৬৮ মিটার। এটি পানির নিচে এক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে আইসবার্গের আয়তন দিনে দিনে কমতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি ও সংঘর্ষের ফলে এমনটি ঘটে থাকে।
যদি কখনো বড় আকারের আইসবার্গ কাত হয়ে যায় তাহলে তা থেকে ভূমিকম্প বা সুনামির সৃষ্টি হতে পারে। এখান থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা পরমাণু অস্ত্র এর সমান হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এসব অঞ্চলের জাহাজ চলাচল সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ।
এজন্য সমুদ্রের বুকে অনেক জাহাজের সলিল সমাধি হয়েছে আইসবার্গ এর কারণে। টাইটানিক ডুবে যাবার পর থেকে সমুদ্রের ওই অঞ্চলে নৌবাহিনী নিয়মিত টহল দিত। তাদের কাজ ছিল আইসবার্গের গতিবিধি নজরে রাখা যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।
পাশাপাশি এসব অঞ্চলের জাহাজদের সতর্কবাণী পাঠানো হতো। ১৯১৪ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয় যা আইসবার্গ এর উপর নজর রাখে। কমিটি যা তথ্য পায় তা রিপোর্ট আকারে জার্নালে প্রকাশ করে। ১৭ টি দেশ এ কমিটির সদস্য।
অনেকে মনে করেন আইসবার্গ এর রং শুধু সাদা হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে তা সত্য নয়। আইসবার্গের রং সাদা থেকে শুরু করে নীল, সবুজ এমনকি হলুদ রঙের হয়ে থাকে। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে আইসবার্গের সংখ্যা সবথেকে বেশি।