মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার বেশির ভাগ তরুণ তরুণী খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, বাইরে ঘুরতে যাওয়া থেকে শুরু করে জীবন থেকে নানা অনুসঙ্গ বাদ দিচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত ব্যাংক অব আমেরিকার এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী ১ হাজার ১০০ জন তরুণ তরুণী এ ব্যাংক অব আমেরিকার জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। এদের ৭৩ শতাংশই বলেছেন, দাম বাড়ার কারণে তারা তাদের জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩ শতাংশ জানিয়েছে, তাঁরা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পরিবর্তে বাড়িতেই রান্না করে খাচ্ছেন। ৪০ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা পোশাক কেনা বাবদ খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। আর ৩৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা নিত্য–প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।
ব্যাংক অব আমেরিকার রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রেসিডেন্ট ও’ নিল রয়টার্সকে বলেন, তরুণ প্রজন্ম নানা উপায়ে অর্থনৈতিক মুক্তি খুঁজছে। তারা অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে গিয়ে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে। গত বছর থেকেই আমেরিকায় পেট্রোল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে। ব্যাংক অব আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান ময়নিহান গত মাসে বলেছিলেন, ভোক্তাদের নগদ ব্যালেন্স কমে আসছে। তবে তিনি আমেরিকার আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে দাবি করেছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জন তরুণের মধ্যে চারজনই গত বছর থেকে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। তারা তো সঞ্চয় করতে পরছেনই না, উপরন্তু ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা থেকে খুব শিগগিরই উন্নতি হবে বলে মনে করেন না মার্কিন তরুণেরা। জরিপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ তরুণ বলেছেন, আগামী বছরেও অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।