এই মুহূর্তে পর্যটনের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হচ্ছে পর্তুগাল। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনের সাথে এক সাক্ষাতকারে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী এন্তুনিয়ো কোস্টা এ দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃতের হার অনেক কম। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা সক্ষমতাতেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ এগিয়ে।
তিন মিনিটের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কারে আন্তোনিও কস্তা আরো জানান যে পর্তুগালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আতিথেয়তা শিল্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে, যাতে পর্তুগালে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষাৎকারের মধ্যেই সিএনএনের রিপোর্টার ফ্রেড প্লাইটেন উল্লেখ করেন যে পর্তুগাল হচ্ছে পর্যটন নির্ভর দেশ। কিন্তু কোভিড ১৯-এর কারণে দেশের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী লিজবন ইয়ারপোর্টের আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্হা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়ারপোর্টে যাত্রীদের স্বাস্হ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ক্লিন ও সেইফটি মেজারমেন্ট স্হাপন করা হয়েছে।
পর্তুগাল সরকার ‘ট্যুরিজম দি পর্তুগাল’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় বাজারকে উদ্দেশ একটি বার্তা দেন। তিনি পর্তুগিজ নাগরিকদের পর্তুগালের অভ্যন্তরেই ছুটি কাটানোর অনুরোধ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, পর্তুগাল হচ্ছে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে পরপর তিনবার বিশ্বের সবচেয়ে সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, আমরা যেহেতু বিশ্বের সেরা গন্তব্যে থাকি, সুতরাং আমাদের সেটি উপভোগ করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যেমন স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে, তেমনি আমাদের আয়, চাকরি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকেও রক্ষা করতে হবে, এই অঞ্চলগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, পর্তুগালকে বিশ্বের সেরা গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলতে পর্যটকদের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। এসব বিবেচনা করে, তাদের স্বাস্হ্য সুরক্ষায় সরকার যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করেছে।
পর্তুগালে বেড়াতে আসা জার্মান দম্পত্তি এক সাক্ষাতকারে বলেন, পর্তুগালে আমরা অনেকটাই নিরাপদ বোধ করছি।