টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সেপ্টেম্বরে ব্যয় বাড়িয়েছেন থাইল্যান্ডের ভোক্তারা। নতুন সরকারের গৃহীত নীতি ও দেশটির পর্যটন খাতের সম্প্রসারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
তবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি কাটেনি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ তথ্য উঠে এসেছে ইউনিভার্সিটি অব দ্য থাই চেম্বার অব কমার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভোক্তা ব্যয় সূচক চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৮ দশমিক ৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগস্টের তুলনায় যা বেশি। চলতি বছরের আগস্টে সূচক ছিল ৫৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট।
দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে সরকার নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে দেশটিতে পর্যটন খাতকে করা হচ্ছে বিদেশীদের জন্য অনুকূল। এজন্য বেশ কয়েকটি দেশের জন্য ভিসামুক্ত পর্যটন সুবিধা দিয়েছে দেশটি। এর আগে রফতানি খাতের অবনমন বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। তা দূর করতে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে।
চলতি বছরে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব দ্য থাই চেম্বার অব কমার্স।
তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আশঙ্কা যাচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে দেশটির রফতানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল্যস্ফীতি এবং বাইরের দেশগুলোয় থাই পণ্যের চাহিদা কমে আসায়।