অন্টারিওর পশ্চিমাঞ্চলের ছোট শহর স্মিথস ফলস এক সময় পরিচিত ছিল প্রদেশের চকোলেটের রাজধানী হিসেবে। শহরটি এখন হারশে’জের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্মিথস ফলসের মেয়র শন পাঙ্কো বলেন, বিষয়টি ১৫ বছর পর পুরোনো বন্ধুর ঘরে ফেরার মতো।
হারশে’জ এক সময় ৯ হাজার মানুষের এই কমিউনিটিতে একটি কারখানা পরিচালনা করতো। অটোয়া থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এর অবস্থান। ওয়াটার টাওয়ারে চকোলেট বারের ছবি শোভা পেত। স্কুল গ্রুপগুলো প্রায়ই ফিল্ড ট্রিপের জন্য এখানে আসতো। কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছিল প্রায় ৪০০ স্থানীয় বাসিন্দার। তাদের মধ্যে রিচার্ড কির্কউডও ছিলেন, যিনি কারখানাটিতে কাজ করেন ৩৫ বছর।
তিনি বলেন, কাজের জন্য এটা দারুণ জায়গা ছিল। ৩০ বছর কোম্পানিটি আমার মর্টগেজ পরিশোধ করেছে। কোম্পানির তরফ থেকে আয়োজন করা ফ্যামিলি বারবিকিউ, বড়দিনের পার্টি এবং ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
কিন্তু ২০০৭ সালে সবকিছু বদলে যায়। ওই সময় হারশে’জ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মেক্সিকো থেকে কর্মী সংগ্রহ করে এবং দোকান বন্ধ করে দেয়।
কির্কউড বলেন, তাকেই সবার শেষে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকেই চমকে যান। এখন আমি আর কোনো বেতন পাই না। আমি নতুন কোনো গাড়ি কিনছি না। আমি নতুন কোনো বাড়ি কিনছি না। যা না কিনলেই আমি কেবল সেটুকুই কিনছি। শহরটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০১০ সালে নির্বাচিত মেয়র পাঙ্কো বলেন, আমাদের জনসংখ্যা কমছে, করের ভিত্তি কমছে, শহর থেকে রাজস্ব আহরণও কমছে। এই ব্যবধান আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে বাধা সৃষ্টি করছে।
শহরটি পরিচয় সঙ্কটেও ভুগছে। পাঙ্কো বলেন, এটা অনেকটা এরকম যে, আমরা যদি হারশে টাউন না হয়ে থাকি তাহলে আমরা কে?