আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ভুটান তার দৈনিক পর্যটন ফি ২০০ ডলার থেকে কমিয়ে ১০০ ডলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ভুটান পর্যটকদের জন্য অনেক দিন নিষিদ্ধ ছিল। এরপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত হয়।
কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পরপরই ভুটান ‘উন্নয়ন ফি’ হিসেবে প্রতিরাতে প্রায় ৬৫ ডলার দিতে গত। কয়েকদিন পরই তা বাড়িয়ে প্রায় ২০০ ডলার করা হয়। এতে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত হয়ে যাচ্ছিল। তাই এই দেশের সরকার পর্যটন ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করার জন্যই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই কর সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পর্যটন খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন ফি কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভুটানের সরকার জানায়, প্রতি রাতে ১০০ ডলারের নতুন সুদের হার সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই হার আগামী চার বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
ভুটান বহু বছর ও প্রজন্ম ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল। ১৯৭৪ সালে দেশটি পর্যটকদের জন্য প্রথমবারের মত উন্মুক্ত হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০০ জন দর্শনার্থী ভুটানে গিয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬০০ ছুঁয়েছে।
ভুটান, হিমালয়ের চমকপ্রদ দেশ। বেশ কয়েকটি মঠের আবাসস্থল। দেশটি সারা বিশ্ব থেকে ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করেছে। কিন্তু কোভিড নিষেধাজ্ঞা দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এ ছাড়াও, ‘পর্যটন ফি’ পর্যটকদের সংখ্যাও সীমিত করেছিল।
পর্যটন অধিদফতরের মহাপরিচালক দর্জি দ্রাধুল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বরে ভুটানে পিক ট্যুরিস্ট পিরিয়ড চলে। তাই ফি কমানোর ফলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫৬ হাজারেরও বেশি পর্যটক ভুটান সফর করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪২,০০০ ভারতীয় ছিলেন। যাদের প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ টাকা (১৪.৫ ডলার) ফি দিতে হত।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া