যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে কয়েক শ নারী-পুরুষ গতকাল শনিবার জমা হয়েছিলেন পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়া শহরে। উদ্দেশ্য, নগ্ন হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সাইকেলে করে শোভাযাত্রা করা। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবছর ফিলাডেলফিয়ায় এ ধরনের র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যা ‘ফিলি ন্যাকেড বাইক রাইড’ নামে পরিচিত। এ নিয়ে ১৪তম বারের মতো এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রথমবার এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। আয়োজকেরা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পরিবহনব্যবস্থার প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষের দেহ নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে প্রতিবছর এই আয়োজন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও ফিলাডেলফিয়ায় আয়োজিত হয়েছ এই শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে নগ্ন হতেই হবে এমন নয়, বরং যে যাঁর মতো নিজ শরীরের যতটুকু অংশ উন্মুক্ত করেই এই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আয়োজকদের দাবি, ‘যে যতটা পারো, ততটাই কম কাপড় পরো’—এই থিমের আলোকেই সবাইকে যোগ দিতে বলা হয়।
প্রতিবছর সাধারণত কমবেশি ১৩ মাইল বা ২১ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে থাকেন অংশগ্রহণকারীরা। অন্যান্যবারের মতো এবারও অংশগ্রহণকারীরা ফিলাডেলফিয়া মিউজিয়াম অব আর্টের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান স্থাপনার সামনে দিয়ে গিয়ে শহরের ইনডিপেনডেন্স হলের সামনে গিয়ে যাত্রা শেষ করেন।
শোভাযাত্রায় যোগ দিতে আসা নিউজার্সির গ্যারি জে. গ্যাডিকিয়ান শোভাযাত্রা শুরুর আগে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা আমার কাছে এমন একটি ঘটনা, যা আমি বছরের পর বছর ধরে করতে চেয়েছি। এটি মুক্তিদায়ক অভিজ্ঞতা এবং নিজের স্বাধীনতার জন্য অবশ্যই এমন কিছু জীবনে একবার হলেও করা উচিত।’
নিউইয়র্ক সিটি থেকে আসা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত ক্রিস্টোফার জর্ডান নামে একজন জানালেন, তিনি এবারই প্রথমবারের মতো শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। এটি তাঁর কাছে গায়ের কাপড় খুলে ফেলার চেয়েও বেশি কিছু। তিনি বলেন, ‘এটি নিজের শরীর নিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করার পাশাপাশি অন্যের শরীর যেরকম তা নিয়েও স্বাভাবিক থাকার জন্য একটি বড় শিক্ষা।’