দেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে দুটি অবস্থিত বাগেরহাটে। একটি সুন্দরবন অপরটি ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ। পর্যটন শিল্পের অপার দুই সম্ভাবনা এই জেলায় থাকলেও দীর্ঘদিনেও গড়ে উঠেনি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা। তবে সংকটের মধ্যেও দুই বিশ্ব ঐতিহ্যেকে ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের। সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদকে পর্যটনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকায় ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
সুন্দরবন পুর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বাংলাভিশনকে জানিয়েছেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সুন্দরবনে নতুন করে আরও চারটি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ জানান, বাগেরহাটের পযটন শিল্পের বিকাশে সরকারিভাবে হোটেলে-মোটেল নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি গাইডদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরনের কারণে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জেলা বাগেরহাট। কিন্তু দীর্ঘদিনেও গড়ে উঠেনি তেমন সুযোগ-সুবিধা। পদ্মাসেতুর সুফল কাজে লাগিয়ে জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি চায় বাগেরহাটবাসী। গত এক বছরে সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ দর্শনীয় স্থানে দেশি ও বিদেশি ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে।