ভাবুনতো কোলাহল থেকে দূরে সুবিশাল জলরাশির মাঝে ছোট্ট একটি দ্বীপের একমাত্র বাসিন্দা আপনি! কেমন হতো বিষয়টি? নিশ্চয়ই গা শিউরে উঠছে আপনার।
৮১ বছরের কিম সিন ইওল এমন একটি দ্বীপে একাই বাস করছেন। ১৯৯১ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে ২৭ বছর একটি দ্বীপে বাস করতেন তিনি। তবে ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই এই দ্বীপের বাসিন্দা কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপ। দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে গত ৩০০ বছর ধরে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বীপটি ডকডো আইল্যান্ড নামে পরিচিত। অন্যদিকে জাপানিদের কাছে এটি টাকেশিমা নামে পরিচিত।
এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপের আশপাশের জলসীমার অধিকার রয়েছে জাপানের হাতে।
সমুদ্রে মাছ ধরেই বেশিরভাগ সময় কেটে যায় দ্বীপটির একমাত্র বাসিন্দা কিমের। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে একজন ফ্রি-ডাইভার হিসেবে ডুব দিতেন তিনি। অসুস্থতার কারণে বছর দু’এক আর এই কাজ করেন না।
একা ভাল থাকলেও নিজের ছেলে ও পুত্রবধূকে এই দ্বীপের বাসিন্দা করতে চান কিম। তার মতে, চার ঘন্টা সাগর পাড়ি দিয়ে যেসব পর্যটক দ্বীপটিতে বেড়াতে আসেন তাদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করেই দিব্যি চলে যাবে তাদের জীবিকা।
কিমের নাতি বলেন, তার ঠাকুরমার কাছে এটি একটি শান্তির জায়গা। তাই এখানে থাকতেই ভালবাসেন তিনি।
দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও বানিয়েছে। পুলিশ, নাবিক, পর্যটক, লাইটহাউস অপারেটর— অনেকেই এই দ্বীপে বেড়াতে আসেন।
৭০-এর দশক নাগাদ ডাইভারদের বেশ কিছু পরিবার এই দ্বীপে থাকতেন। কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে দ্বীপটি।