এয়ারবাসের এ৩৮০ একসঙ্গে ৮৫৩ যাত্রী বহনে সক্ষম। একনাগাড়ে ১৫ হাজার ৩০০ বা ৯ হাজার ৫০০ মাইল ভ্রমণের রেকর্ড আছে এর। ঘণ্টায় ৯০০ কিলোমিটার বা ৫৬০ মাইলের বেশি গতিতে চলার সময় তেমন কোনো ঝাঁকুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয় না। এর আগে সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী বিমান ছিল বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি। বোয়িং ৭৪৭-এর থেকে ৪০ শতাংশ বেশি ধারণক্ষমতার এই বিমান দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রীদের জন্য বেশ আরামদায়ক।
দুবাইভিত্তিক বিমান কোম্পানি এমিরেটস এয়ারলাইনসের বাণিজ্যিক বিমানবহরে ২০২৪ সালে এ৩৮০ বিমানের সংখ্যা হবে মোট ১৪৪টি। তারা নতুন করে এই বিমানটির অভ্যন্তরীণ অংশকে মনোরম নকশা এবং আরও আরামদায়ক করে সাজিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস এ৩৮০-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।
অতিমারির আগে ২০১৯ সালে বিশ্বের মোট ১৪টি বিমান কোম্পানি মিলে সপ্তাহে ২ হাজার ৩০০ উড্ডয়নের মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসু যাত্রীদের পরিষেবা নিশ্চিত করেছে।
এয়ারবাস মোট ২৫৪টি এ৩৮০ বিমান নির্মাণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময়কর এ বিমানটি বেশ আরামদায়ক, তুলনামূলক কম শব্দ হয় এবং দ্রুতগতির প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ অতিমারি বিমান পরিবহন শিল্পে প্রচণ্ড আঘাত হানে। এর থেকে এ৩৮০ বিমানটিও রক্ষা পায়নি। এয়ারবাস তাই ২০২১ সাল থেকে এমন চমৎকার আকাশযানটি নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। এয়ারবাস বসে নেই। ইতিমধ্যে তারা চমৎকার নকশার এবং হাইড্রোজেনচালিত পরিবেশবান্ধব বিমান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে অচিরেই আকাশে দেখা দেবে আরেক বিস্ময়।