নিউইয়র্ক সিটি ইমিগ্রান্টদের শহর। নতুন ইমিগ্রান্টদের বিশেষ করে যারা ইংরেজি ভালভাবে বুঝতে পারে না, তাদেও জন্য প্রতি পতে পাতা রয়েছে নানা ফাঁদ। সেসব ফাঁদ এড়িয়ে চলতে হলে বুদ্ধিমান হতে হবে। আগে ছিল লোভ দেখানো। অনেক অর্থের চেক তার নামে এসে পড়ে আছে, কিন্তু সঠিক ঠিকানা না জানায় পাঠাতে পারছে না। তাছাড়া কয়েক হাজার ডলারের উক্ত চেক দেয়ার জন্য তাদের কিছু জরুরী তথ্য প্রয়োজন, যেমন সোশাল সিকিউরিটি নম্বর, জন্মতারিখ ইত্যাদি। এইভাবে দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা বিশ্বাস করে অনেকে ফেঁসে গেছেন। এর বাইরে আরেকটি পদ্ধতি হলো নিজেকে আইআরএস’এর কর্মকর্তা বা এফবিআই এজেন্ট বলে ভয় দেখিয়ে ধমক দিয়ে ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা। উক্ত অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে না দিলে গ্রেফতার করা হবে বলেও ভয় দেখানো হতো। নতুন ইমিগ্রান্টরা তাদের ভয়ে বা লোভে পড়ে অর্থ দিয়ে প্রতারিত হয়েছে। এই রকম আরো অনেক ধরনের পন্থায় অর্থ আদায় করে আসছে প্রতারকরা। তারা একই পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করে না।
এখন নতুন প্রযুক্তি এসেছে। এসেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মত অত্যন্ত নিপুণ এ্যাপ। তাই লোভ দেখানো বা ভয় দেখানোর দিন শেষ। নতুন একটি প্রতারণার খবর পাওয়া গেছে। এই প্রতারণা এতই নিপুণ ও সূ² যে বোঝা দুষ্কর। বরং বোঝার আগেই প্রতারিত হয়ে যেতে হবে।
যেমন, একজন হয়ত ফোন পেল। একজন পুরুষ কণ্ঠে বলবে সে কাস্টমার সার্ভিস থেকে ফোন করেছে। তারপরই প্রশ্ন করবে, ‘Can you hear me?’ উত্তরে যদি কেউ বলে ‘Yes’ তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক জায়গায় ‘সাইনআপ’ করা হয়ে যাবে। অর্থাৎ কোনো এ্যাপ আপলোড করতে গেলে ফোনে যেমন জিজ্ঞাসা করা হয় ‘I agree’ or ‘I disagree’। যদি উক্ত তথাকথিত সার্ভিসের লোকের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় ‘I hear you’, তখন সে আবার বলবে ‘So you can hear me?’ অর্থাৎ সে শুনতে চায় ‘yes’। আবার সে বলবে I just need a ‘yes’ or ‘no’। যদি ‘yes’ বলা হয় তাহলে প্রতারিত হতে হবে। এই ধরনের ক্ষেত্রে ‘ইয়েস’ বা ‘নো’ না বলে ফোন কেটে দেয়াই সবচেয়ে ভাল।