পদ্মা সেতু পার হতে হলে সবাইকেই টোল ট্যাক্স দিতে হবে। এই টোল ট্যাক্স দেওয়ার হাত রেহাই মিলবে না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরও। এমনকী সেনা বাহিনীকেও টোল ট্যাক্স দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে হবে। তবে পদ্মা সেতুতে মাত্র একজনকে টোল ট্যাক্স দিতে হবে না।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পারাপার হতে হবে। গত বছর ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সেতুর উদ্বোধন করেন।
তিনিই প্রথম পদ্মা সেতু পারাপার হতে টোল ট্যাক্স দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দিনেই ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা টোল ট্যাক্স দিয়েছিলেন। এছাড়া সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থা তাদের যানবাহন পারাপারের জন্য ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকা টোল ট্যাক্স হিসাবে দিয়েছে।”
রবিবার, পদ্মা সেতু চালুর এক বছর পূর্তি হয়। এই উপলক্ষ্যে বনানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন গড়ে টোল ট্যাক্স হিসাবে আয় হচ্ছে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গত বছর ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার পরদিন থেকে তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এই সময় মোট টোল হিসাবে আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ টাকা। তিনি জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে।
যা অনুমান করা হয়েছিল তার তুলনায় বেশি যানবাহন চলাচল করেছে এই সেতু দিয়ে। পদ্মা সেতু চালুর দিন কয়েক পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মোটর সাইকেল চলাচল। সম্প্রতি আবার মোটরসাইকেল চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোন গাড়ি এই সেতুতে দাঁড়াতে পারবে না। গাড়ি থামিয়ে কেউ সেলফিও তুলতে পারবেন না।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এই সেতু দোতলা। পদ্মা সেতু নিছক একটি সেতু নয়। এই সেতুর ওপরে করা হচ্ছে রেললাইন। একই সঙ্গেই এই সেতু দিয়ে গিয়েছে গ্যাস ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই সেতু জনগণের সম্পদ। বাংলাদেশের নিজের টাকায় তৈরি করা হয়েছে এই সেতু।”