রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

এক অন্ধের আবিষ্কার যেভাবে পৃথিবীকে আলো দেখাচ্ছে

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

দৃষ্টিহীন ও স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিত্যদিনের কাজ করা ও পড়াশোনার সুবিধার্থে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়। আবিষ্কারক লুই ব্রেইলের নাম অনুসারে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ব্রেইল পদ্ধতি।

এক অন্ধের আবিষ্কার যেভাবে পৃথিবীকে আলো দেখাচ্ছে
লুই ব্রেইলের নাম অনুসারে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ব্রেইল পদ্ধতি

লুই ব্রেইল একদিন তার বাবার জুতার দোকানে বসে খেলা করছিলেন। তখন হঠাৎই একটি সরঞ্জাম এসে তার ডান চোখে আঘাত করে। চিকিৎসা করেও বাঁচানো যায়নি চোখ। অন্ধ হয়ে যান লুই। দৃষ্টি হারিয়েও দমে যাননি তিনি।

বরং বড় কিছু করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা তার মধ্যে ছোট থেকেই ছিল। পরবর্তীকালে নামকরা গায়কও হয়েছিলেন লুই ব্রেইল। পড়াশোনা করতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ব্লাইন্ড চাইল্ডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তার নজরে আসে চার্লস বার্বির লেখার পদ্ধতি।

এক অন্ধের আবিষ্কার যেভাবে পৃথিবীকে আলো দেখাচ্ছে
লুই ব্রেইল

হিন্দুস্থান টাইমস-এর তথ্য, চার্লস বার্বির নাইট রাইট পদ্ধতিকে বেশ কিছুটা উন্নত করেই তৈরি করা হয় আধুনিক ব্রেইল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ছয়টি ডট বা ফুটকির সাহায্যে সবকয়টি অক্ষর ও সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। এমনকি গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন চিহ্নও একই পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হয়।

১৫ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায় এই পদ্ধতিকে উন্নত করার চিন্তাভাবনা। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হয়েছিলেন ব্রেইল। তখনই ছয়টি ডট দিয়ে আধুনিক পদ্ধতির আবিষ্কার করেন তিনি। ১৮২৯ সালে এই নিয়ে প্রথম বই বার হয়। এর কিছুদিন পর একটি ইতিহাস বইয়ের ব্রেইল সংস্করণ প্রকাশ করেন লুই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com