এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় থাকা অন্যতম একজন হলেন বিখ্যাত ব্যবসায়ী গৌতম আদানি (gautam adani)। জীবনে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পথ চলে আজকের দিনে এই জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছেন গৌতম আদানি। সম্প্রতি ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন এই ব্যবসায়ী।
এই সাফল্যের পেছনের আসল কারণ বলতে গিয়ে গৌতম আদানি বলেন, ‘অর্থ উপার্জনের কোনও ফর্মুলা হয় না। ব্যবসা বা ব্যবহারিক জীবনে একটাই ফর্মুলা কাজ করে- পরিশ্রম, পরিশ্রম এবং পরিশ্রম। আমি আমার পরিবার, আমার দলের সমর্থন এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেয়েছি। দেশের উন্নতিই আমার একমাত্র লক্ষ্য’।
তিনি বলেন, ‘১৫ বছর বয়সে যখন আমি দশম শ্রেণী পাস করি, পরিস্থিতি এমন হিয়ে দাঁড়িয়েছিল আমি পড়াশুনা মাঝপথে থামিয়ে দিয়েই মুম্বাই চলে যাই। সেখানে চার বছর থাকার পর আহমেদাবাদে ফিরে আসি। এই চার বছরে মুম্বাই আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমার ব্যবসার ভিত তৈরি হয় ওখানে। তবে আমি মনে করে জীবনে শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। শিক্ষাই মানুষকে জ্ঞানী করে তোলে। তবে মাত্র ১৯ বছরের একটি ছেলে নিজের পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে এই সময় আমার পরিবার আমাকে অনেক সাপোর্টও করেছে’।
কথা প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রজত শর্মা গৌতম আদানিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে তিনি কী সাহায্য পেয়েছিলেন? উত্তরে আদানি গ্রুপের কর্ণধার জানান, ‘আমি জীবনে তিনটি বড় ব্রেক পেয়েছি। প্রথমত ১৯৮৫ সালে যখন রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং নতুন আমদানি-রপ্তানি নীতি আসে, তখন আমাদের কোম্পানি একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। দ্বিতীয়ত, ১৯৯১ সালে, যখন আমরা পিভি নরসিমহা রাও এবং ডঃ মনমোহন সিং সরকারের আমলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব করতে পারতাম। এটি দেশের পরিকাঠামোতে একটি নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছে’।
তিনি আরও জানান, ‘নরেন্দ্র মোদী যখন ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এটি একটি ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। তবে আমি বলতে চাই যে আপনি মোদীজির কাছ থেকে কোনও ব্যক্তিগত সাহায্য নিতে পারবেন না। তাদের সঙ্গে নীতি নিয়ে কথা বলতে পারেন, দেশের স্বার্থে আলোচনা করতে পারেন, যে নীতি তৈরি হয় তা সবার জন্য। এটি শুধুমাত্র আদানি গ্রুপের জন্য তৈরি করা হয়নি’।