ওয়েবসাইটে গোটা একটি গ্রাম বিক্রির ঘোষণা এলো। দাম ২৬ কোটি টাকা। এ পরিমাণ অর্থ যে খরচ করবে সেই গ্রামটি তার হবে।
ওয়েবসাইটে গ্রামের মালিক লিখেছেন, আমি শহরে থাকি। গ্রামটি দেখাশোনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে।
কেনার ক্ষমতা থাক বা না থাক গোটা একটি গ্রাম কেন বেচে দেওয়া হচ্ছে— সে কৌতূহল কার নেই!
জবাবটা কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেবে। বাসিন্দাদের অভাবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে গ্রামটি।
ইউরোপের দেশ স্পেনের
ওয়েবসাইটে গোটা একটি গ্রাম বিক্রির ঘোষণা এলো। দাম ২৬ কোটি টাকা। এ পরিমাণ অর্থ যে খরচ করবে সেই গ্রামটি তার হবে।
ওয়েবসাইটে গ্রামের মালিক লিখেছেন, আমি শহরে থাকি। গ্রামটি দেখাশোনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে।
কেনার ক্ষমতা থাক বা না থাক গোটা একটি গ্রাম কেন বেচে দেওয়া হচ্ছে— সে কৌতূহল কার নেই!
জবাবটা কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেবে। বাসিন্দাদের অভাবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে গ্রামটি।
উত্তর-পশ্চিম স্পেনের সালতো দে কাস্ত্রো নামের গ্রামটি কিনে নেয়া যাবে বাংলাদেশি ২৬ কোটি টাকায়। বিশ্বের যে কেউই এই গ্রাম কিনে গড়তে পারবেন বসতি। বসবাসের জন্য সব সুবিধাই আছে সেখানে।
মাদ্রিদ থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার দূরত্বে পর্তুগাল সীমান্তে জামোড়া প্রদেশের এ গ্রামে ছোট ছোট অনেক ভবনও আছে। একটা শহরও বলা চলে গ্রামটিকে। ৪৪টি বাড়ি, একটি হোটেল, একটি গির্জা, একটি স্কুল, একটি সুইমিং পুল এমনকি সিভিল গার্ডের জন্য জায়গাও আছে সেখানে।
বিবিসি বলছে, এসব থাকলেও একটি এলাকা গ্রাম হয়ে উঠতে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই মানুষই নেই সেখানে। তিন দশকের বেশি আগেই বাসিন্দাদের সবাই চলে গেছেন এই গ্রাম ছেড়ে।
২০০০ সালের শুরুর দিকে সালতো দে কাস্ত্রো গ্রাম কিনে নেন এক ব্যক্তি। একটি পর্যটনকেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে ইউরোজোন সংকটে পড়ে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি ও বিদেশি মুদ্রার অভাবে তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
গ্রামটির মালিকানা সংস্থা রয়্যাল ইনভেস্টের কর্মকর্তা রনি রদ্রিগেজ বলেছেন, মালিকের এখানে একটি হোটেল করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এটি হয়নি। তিনি এখনও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চান। আর প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে গ্রামের মালিক বলেছেন, আমি শহরে থাকি। গ্রামটি দেখাশোনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ থেকে ৩০০ জনের বেশি মানুষ এই গ্রাম কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এরই মধ্যে একজন কিছু অর্থ অগ্রিম দিয়ে এর বুকিং দিয়েছেন।
৫০-এর দশকে পাশেই জলাধার তৈরি করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো এই গ্রাম তৈরি করেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তবে ওই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাসিন্দারা সরে যেতে থাকেন। ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
স্পেনের এই গ্রামটি যেখানে অবস্থিত, এর আশপাশের এলাকা ‘শূন্য স্পেন’ হিসেবে পরিচিত। গ্রামীণ এ এলাকায় মেলে না শহরের অনেক পরিষেবা। ‘সালতো দে কাস্ত্রো’ এতই সস্তা দামে বিক্রি হচ্ছে যে, এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে বার্সেলোনা ও মাদ্রিদের মতো জায়গায় কেনা যাবে সর্বোচ্চ এক বেডরুমের বাসা।