মুসলিম বিশ্বে অতিপরিচিত হিজাব নিষিদ্ধ করতে পারে কাজাখস্তান। মুসলিমপ্রধান এই দেশের সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী আইদা বেলায়েভা গতকাল রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বেলায়েভা জানিয়েছেন, কাজাখ কর্তৃপক্ষ হিজাবসংক্রান্ত বিদ্যমান আইন পুনর্বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে। হিজাব যাতে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ও অপ্রথাগত ধর্মীয় আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠতে না পারে, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এমনটা করা হতে পারে।
কাজাখ সরকার হিজাবসহ অন্যান্য ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে বেলায়েভা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এসব প্রথাসংক্রান্ত আইন নিয়ে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দেখব, বিশেষ করে জনপরিসরের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো আমরা ভালোভাবে বিবেচনা করব।’
আইদা বেলায়েভা আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই এমন (হিজাব নিষিদ্ধসংক্রান্ত আইন পাস) বিষয় বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কারণ, যখন জনপরিসরে কারও মুখ ঢাকা থাকে, তখন তার পরিচয় নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এসংক্রান্ত বিষয়ে বিধিবিধানগুলো আরও কঠোর করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক শিক্ষক সম্মেলনে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জুমরাত তোকায়েভ দেশের সংবিধান অনুসারে ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়নের প্রতি জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাসহ আমাদের জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে এই মূলনীতি দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কাজাখস্তানে পরিচালিত জনশুমারি বলছে, দেশটির ৬৫ শতাংশ নাগরিক মুসলমান ও ২০ শতাংশ অর্থোডক্স খ্রিষ্টান।