কয়েক বছর যাবত নানা ধরনের অনিয়ম, লুটপাট ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে বিমান ভাড়া ও হজ প্যাকেজ মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করায় চলতি বছরের হজ কোটা পূরণ হয়নি। হজ থেকে বঞ্চিত হয় ৪৫ হাজার মুসল্লি। এমন কঠিন বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই এবারের হজ প্যাকেজ সহনশীল রাখার জোর দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিক সমিতির নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম। শনিবার হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী। এ সময় তারা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে হজ টিকিটের বিমান ভাড়া অনেক বেশি। দুই/তিনটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সকল হজযাত্রী পরিবহনে বাধ্য করায় হজ প্যাকেজের মেয়াদ দীর্ঘ হয় এবং সৌদি আরবে থাকা-খাওয়ার খরচ বৃদ্ধি পায়। মাত্রাতিরিক্ত বিমান ভাড়ার কারণে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নির্ধারিত হজ প্যাকেজ মূল্য প্রতিবছরই বৃদ্ধি পায়। ফলে সাধারণ হজযাত্রীগণ আর্থিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে এবং অনেক হজ পালনেচ্ছু ব্যক্তি হজে যাওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছেন।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিমান ও বিমান ভাড়া সংক্রান্ত ২টি প্রস্তাব পেশ করছি। প্রথমত- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্সসহ অন্য সকল এয়ারলাইন্সের হজযাত্রী পরিবহনের সর্বোচচ ভাড়া ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা ও থার্ড ক্যারিয়ারকে সুযোগ দেওয়া।