গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকের ঘটনা। লেখাপড়া ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক। পড়াশোনার পরিবর্তে সেই সময়টাতে তিনি নিজের স্টার্টআপ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ইলন মাস্ক ১৯৯০ এর দশকে স্টার্টআপ কোম্পানি তৈরি করার সময় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোতে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন কিন্তু সেখানে তার স্নাতক অধ্যয়ন প্রোগ্রামে তিনি ভর্তি হননি। এর পরিবর্তে তিনি সেসময় সফটওয়্যার কোম্পানি জিপ২ (Zip2) তৈরি করেন, যা ১৯৯৯ সালে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
প্রতিবেদনে দুই অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, একজন ছাত্র হিসেবে বৈধ কাজের অনুমোদন বজায় বা ধরে রাখার জন্য ইলন মাস্ককে অধ্যয়নের সম্পূর্ণ কোর্সে ভর্তি হওয়ার দরকার ছিল। অর্থাৎ স্নাতকে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধভাবে কাজের অনুমতি পেতে পারতেন মাস্ক।
এদিকে এই অভিযোগের বিষয়ে মাস্কের বক্তব্য জানতে তার মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠান— স্পেস এক্স, টেসলা, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি এক্স ও দ্য বোরিং কোম্পানিতে অনুরোধ পাঠানো হয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে। এমনকি মাস্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পিরোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তবে মাস্কের এসব প্রতিষ্ঠান বা আইনজীবীর দিক থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের একটি পডকাস্টে মাস্ক এই বিষয়ে বলেছিলেন- আমি আইনগতভাবেই সেখানে ছিলাম, তবে আমার ছাত্র হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। আমাকে যেভাবেই হোক, নিজের খরচ বহন করার জন্য কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে মাস্কের সাবেক দু’জন সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা বলেছেন, ১৯৯৭ সালে বা তার কাছাকাছি সময়ে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে তার কাজের অনুমোদন পেয়েছিলেন।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট