জীবন-যাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেন ছেড়ে পশ্চিম ইউরোপে ছুটছেন ব্রিটিশরা। শিক্ষা, ব্যবসা, চাকরি কিংবা অবসর জীবন কাটাতে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। দিন দিন ব্রেক্সিট আইন সবকিছু কঠিন করে তুলছে ব্রিটিশদের জন্য।
শিক্ষা, চাকরি কিংবা অবসর জীবন কাটাতে ব্রিটিশরা এখন ছুটছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ান (ইইউ) বা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে। ব্রেক্সিটের ফলে ব্রিটেনের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মন্দা চলছে। তাই ব্যবসায়ীরাও ইউরোপমুখী।
বিশ্বের বহু দেশের শিক্ষার্থী রয়েছে ব্রিটেনে। তারাও সাম্প্রতিক কঠিন আইনের চাপে শিক্ষা অসমাপ্ত রেখে চলে যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। এছাড়া ব্রিটেন থেকে প্রতিদিন অবৈধ পথে অভিবাসীরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ঢুকছেন। শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, পার্ট টাইম কাজের জটিলতা, অস্থিতিশীল সরকার এবং রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা কঠিন হওয়ায় ব্রিটেন ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।
ব্রেক্সিটের আগের তুলনায় বর্তমানে ব্রিটিশদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসবাসের আগ্রহ বাড়ছে দ্রুত। আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ২০২২ সালে ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন ৪৬ হাজার ৯৭৭ জন। চলতি বছরে এই সংখ্যা আরও বাড়ছে বলে মনে করছে ইউরোপের পরিসংখ্যান ব্যুরো ইউরোস্ট্যেট।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশরা আবেদন করলেও তালিকায় শীর্ষে আছে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি। ব্রেক্সিট পরবর্তীতে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার কারণ বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ব্রিটিশদের আবেদন বাড়লেও ব্রেক্সিটের কারণে তা দিন দিন আরও কঠিন হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে ইউরোপে প্রবেশ করতে হলে ব্রিটেনে বসবাসকারীদের ভিসার প্রয়োজন হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। যা ব্রিটিশদের ইউরোপে বসবাসের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে।