রপ্তানিমূল্য কম দেখিয়ে (আন্ডার ইনভয়েস) ঢাকা-চট্টগ্রামের ১৯টি প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দারা। ঢাকার ১৭টি ও চট্টগ্রামের দুটি প্রতিষ্ঠান ৪২৪টি চালানে মোট ৫ হাজার ৭৫৭ মেট্রিকটন তৈরি পোশাকের দাম কম দেখিয়ে টাকা পাচার করে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে পৃথক মামলার কথা জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রামে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে টোটাল কোয়ালিটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ১৯ চালানের মাধ্যমে ২ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ কেজি পণ্য রপ্তানি করে। রপ্তানিমূল্য দেখিয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬০০ টাকা। তাবাসসুম ইন্টারন্যাশনাল ৬টি চালানে ৪০ হাজার ৬১৭ কেজি রপ্তানি করে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৫১ টাকা। সেফ ফ্যাশন অ্যান্ড ট্রেডিং ৫০টি চালানে রপ্তানি করে; যার মূল্য ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬১৪ টাকা।
জোবায়ের ট্রেডিং, মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, এম আই ট্রেডিং, মারওয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কে মুড টেক্সটাইল, নাজাফা ট্রেডিং, তাহসিন ইন্টারন্যাশনাল, আল-ফাহাদ ট্রেড লাইন্স, এয়ার বাংলা, জিএস খান অ্যাপারেলস, ইমাজিন ফ্যাশন লিমিটেড, ফ্যাশন কমফোর্ট (বিডি) লিমিটেড, এ আইফা এন্টারপ্রাইজ ও ফাস্ট এক্সপোর্টাস (বিডি) লিমিটেড, জেডইই ফ্যাশন পণ্য রপ্তানি করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য তাবাসসুম ইন্টারন্যাশনাল ও নাজাফ ট্রেডিং চট্টগ্রামের বাকি ১৭টি প্রতিষ্ঠান ঢাকার।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. বশীর আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামের ১৯টি প্রতিষ্ঠান প্রকৃত রপ্তানিমূল্য গোপন করে অতি কম মূল্যে তৈরি পোশাক সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি করেছে। এতে ১৪৭ কোটি টাকা দুবাইতে পাচারের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি আমরা। ৪২৪টি চালানে মোট ৫ হাজার ৭৫৭ মেট্রিকটন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। সব চালান দুবাইতে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত মূল্য ১ দশমিক ৭৩ কোটি ডলার। অধিকতর তদন্ত করে মানিলন্ডারিং আইনে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ইএক্সপি ইস্যুর সময় বা চালান শুল্কায়নের সময় মূল্যের বিষয়ে নজরদারি প্রয়োজন।’