বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সহজ উপায়

  • আপডেট সময় বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
A beautiful young woman is posing for the camera with the American flag on her back. She appears to be proud and smiling for the camera.

বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী, প্রভাবশালী আর আধুনিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বহু মানুষের স্বপ্নের দেশ এটি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ চায় সেখানে যেতে।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটির অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। ফলে আগের তুলনায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া কঠিন। তবে এর মধ্যেও চাকরি, পরিবার ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহজে ভিসা পাওয়ার পথ খোলা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়া সহজ। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ইবি সিরিজ’ (এমপ্লয়মেন্ট বেজড)। ইবি সিরিজের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ক্যাটাগরি চাকরির ভিসা পেতে আগ্রহীদের জন্য।

ইবি-১: এই ক্যাটাগরিতে কয়েকটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। কোনো বিশেষ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা থাকলে এই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া গবেষণাক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে পারেন। গবেষণার অভিজ্ঞতার জন্য চাকরির ভিসা পেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়।

ইবি-২: ব্যতিক্রমী দক্ষতা বা উচ্চতর শিক্ষা থাকলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির জন্য ভিসা পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ভিসার আবেদন করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার জমা দিতে হবে।

ইবি-৩: দক্ষ কর্মী বা দক্ষ প্রফেশনাল ব্যক্তিরা এই ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে।

ইবি-৪: যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ অভিবাসীদের ভিসা দিয়ে থাকে। অভিবাসীদের মধ্যে যারা ন্যাটোর সাবেক কর্মী বা ন্যাটোর সাবেক কর্মীর স্পাউস, ডাক্তার, স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, ইরাক বা আফগানিস্তানের ভাষা জানেন এবং ইংরেজি অনুবাদ করতে পারেন এমন ব্যক্তি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা কর্মীরা ভিসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।

ইবি-৫: কেউ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে তিনি ভিসা পেতে পারেন। তবে এই ক্যাটাগিরতে ভিসা পেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ জন আমেরিকান নাগরিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে ভিসা পেতে কমপক্ষে ৪ কোটি টাকার বেশি বা ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।

ওপরের বিষয়গুলো ছাড়াও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে;

কর্মসংস্থানভিত্তিক কাজের প্রস্তাব: যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কাজের সুযোগ দিয়ে যদি অফার লেটার পাঠায় তাহলে সেই অফার লেটারসহ আবেদন করে ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অব লেবার’ (ডিওএল) থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয় এবং অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর এই ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

স্পাউস: পরিবার বা আইনগতভাবে বৈধ সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব হয়ে থাকলে সহজেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। কোনো মার্কিনির সঙ্গে আপনার বাগদান হলেও আপনি সেখানে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন।

লেখাপড়া:
 যুক্তরাষ্ট্র লেখাপড়ার জন্য বৃত্তি ও অন্যান্য সুবিধায় ভিসা দিয়ে থাকে। তবে এই ভিসায় দেশটিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com