যুক্তরাষ্ট্রে গত জুনে কর্মী নিয়োগের গতি ও বেকারত্বের হার কমে এসেছে। গত শুক্রবার দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটা ইঙ্গিত দেয় যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চলতি মাসের শেষের দিকে আরও স্বস্তিদায়ক হবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় আবারও চলতি মাসে সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশে গত মাসে ২ লাখ ৯ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে, যদিও তা আগের মাসের চেয়ে সংখ্যায় কম। গত মে মাসে এই সংখ্যা ছিল তিন লাখ ছয় হাজার। ইতিমধ্যে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
অর্থনৈতিক তথ্য, বাণিজ্য সংবাদ, বিশ্লেষণ ও স্টক মার্কেটের তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট মার্কেটওয়াচ পরিচালিত অর্থনীতিবিদদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নতুন চাকরির গড় প্রত্যাশা ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার, কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা কম এসেছে। আর বেকারত্বের হার আগের পূর্বাভাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের প্রধান মার্কিন অর্থনীতিবিদ ওরেন ক্লাচকিন এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে শ্রমবাজার উল্লেখযোগ্যভাবে স্থির হচ্ছে। শ্রমবাজার এখনো খুব শক্তিশালী। মজুরিও খুব শক্তিশালী গতিতে বাড়ছে, বেকারত্ব এখন খুব কম। ফেডারেল যা চায় তার চেয়েও নন–ফার্মের বেতন বেশি গতিতে বেড়েছে।’
শুক্রবার প্রকাশিত চাকরিসংক্রান্ত এই প্রতিবেদনকে ‘বাইডেনমিকস ইন অ্যাকশন’–এর প্রমাণ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে গত মাসে দুই লাখের বেশি চাকরি যোগ হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোট ১ কোটি ৩২ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গত আড়াই বছরে চার বছর মেয়াদের যেকোনো প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের সময়ের চেয়ে বেশি চাকরি যোগ করা হয়েছে।’শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, জুনে মূলত সরকারি, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সহায়তা ও নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে।