করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর সম্প্রতি বাংলাদেশে আমেরিকান ভিসার চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ঢাকায় আমেরিকান কনসাল জেনারেল নাথান ফ্লক বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি জানান, ভিসার জন্য অপেক্ষমানদের দীর্ঘ সারির কারণে সাক্ষাৎকারের তারিখ পেতে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে কেউ আবেদন করলে আগামী বছরের অক্টোবরের দিকে ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ পাচ্ছেন।
যে কারণে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসাপ্রত্যাশীদের যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকান কর্মকর্তারা। অতি জরুরি ও মানবিক পরিস্থিতিতে কারও ভিসা প্রয়োজন হলে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শুক্রবার ভিসা অফিস খোলা রাখার পাশাপাশি বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে তারা ভিসার জট কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভিসাপ্রত্যাশীদের সতর্ক করে দিকে মার্কিন কনসাল জেনারেল বলেন, আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখেন। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বা সাক্ষাৎকারের তারিখ এগিয়ে আনতে দালাল ধরার প্রয়োজন নেই। ভিসা দালালদের সঙ্গে দূতাবাসের কোনো যোগাযোগ বা যোগসাজশ নেই।
ভিসা আবেদনে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন মার্কিন কনসাল জেনারেল।
তিনি বলেন, ভুল তথ্য দিলে শুধু ভিসা আবেদনই বাতিল হবে না; ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন। কারণ মার্কিন ভিসা আইন খুব কঠোর। সেই আইন অনুযায়ী ভিসা আবেদনকারীদের সশরীরে হাজির হতে হয়।
ভিসা সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ভিসা জট রাতারাতি দূর হবে না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।