শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

মার্কিন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে কানাডা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই ভিসা নীতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাংলাদেশে যারা বাঁধা সৃষ্টি করবে তাদের ভিসা দেয়া হবেনা। এমনকি তাদের পরিবার-পরিজনকেও ভিসা দেয়া হবে না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। যদিও আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় রাজনৈতিক দলই বলছে যে এই ভিসা নীতি তাদের পক্ষে। এর ফলে  অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হলো এমন দাবি দু’পক্ষেরই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা না, এখন ওয়াংশিটনের এই ভিসা নীতি অনুসরণ করবে তাদের প্রতিবেশী দেশ কানাডাও। এমন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কানাডা এই ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে না। সাধারণত বিশ্ব কূটনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কানাডা মোটামুটি সেটা অনুসরণ করে। বিরল ব্যাতিক্রম ছাড়া মার্কিন নীতি অনুযায়ী কাজ করা কানাডার পররাষ্ট্র নীতির একটি মৌলিক বৈশিষ্ট। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতি যখন ঘোষণা করা হয় তখন অনেকেই বলেছিলেন যে কানাডাও হয়তো একই পথে হাটবে। তবে কানাডা এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।

কানাডা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, কানাডা ভিসা নীতির ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় না। কানাডা কাকে ভিসা দিবে না দিবে এটি কানাডার নিজস্ব আইনগত বিষয়। এছাড়া কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের নিজস্ব বিচার-বিবেচনা করে যাকে ভিসা প্রদানের জন্য যোগ্য মনে করে তাকেই ভিসা দেয়। ঐ মুখপাত্র এটিও বলেছেন যে কানাডা একটি অভিবাসীদের দেশ। এবং এখানে যে কোনো যোগ্য অভিবাসী কিংবা ভ্রমনেচ্ছু ব্যক্তিকে স্বাগত জানানো হয়। কাজেই আমরা যে সমস্ত বিচার – বিবেচনা করে ভিসা প্রদান করি সেসকল বিচার-বিবেচনার আলোকে যদি কেউ ভিসা প্রাপ্ত হন তাহলে তাকে অবশ্যই ভিসা দেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি দেশের যে স্বাতন্ত্র এবং নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আছে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই কানাডা নির্বাচন ইস্যুকে ভিসার সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। তবে এটি এখনই নয়। নির্বাচন পরবর্তি সময়ে এই ভিসা নীতি প্রযোজ্য হবার সম্ভাবনা বেশী।

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকেই এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছে। তারা যদি কাউকে মনে করে যে তিনি বাংলাদেশে  অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় তবে তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে, তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। কিন্তু কানাডা তেমনটি করবেনা বলে জানা গেছে। বরং বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কীভাবে সম্পন্ন হয় সেটি কানাডা সরকার আগে দেখতে চায়। নির্বাচনের পর এই নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, অংশগ্রহণমূলক না হয় সেক্ষেত্রে যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধার সৃষ্টি করেছেন বলে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভিসা প্রধানের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কানাডাসহ সকল পশ্চিমা দেশই চায় বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হউক। এখন এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কৌশল এবং নীতি সেটা কানাডা অনুসরণ করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com