শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

ভোজনরসিকদের ফরাসি স্বাদ দিতে ঢাকায় ডেলিফ্রান্স

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্যারিসের গ্রীষ্ম বা শীত, সবসময় প্রাণবন্ত আড্ডায় মুখরিত থাকে অসংখ্য ক্যাফে। শিল্প ও সংস্কৃতিকে আগলে রাখার অসাধারণ রাজকীয় সব আয়োজন প্যারিসের বুকে। পথভোলা পথিকরাও প্যারিসের ক্যাফে-বেকারিগুলোতে খানিকটা জিরিয়ে নেন, সঞ্চয় করেন দিনের বাকিটা চলার রোমঞ্চকর অনুভূতি। ক্যাফেগুলোর খাবারের সেই সুঘ্রাণ-সুখ্যাতি এখন দুনিয়াজুড়ে। ডেলিফ্রান্স বেকারি এন্ড কফি ১৯১৯ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তার সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার দিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছে অগণিত ভোজনরসিকদের।

উপমহাদেশে কলম্বোর পর ঢাকায় ডেলিফ্রান্সের ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে এসেছে লেস ব্লিউস লিমিটেড। মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তা আবিদ মনসুরের হাত ধরে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান এভিনিউতে গেল ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা করেছে ডেলিফ্রান্স বাংলাদেশ। এর আগে, জুলাইয়ের শেষভাগে ডেলিফ্রান্স প্রাগযাত্রা করে শুধুমাত্র খাবার নিয়ে ক্রেতাদের মন্তব্য ও সেবার মানের বিষয়টিতে নিজেদের ঘাটতিগুলো সংশোধন করার জন্য। কারণ, ডেলিফ্রান্স এমন একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড যেখানে শুধু্ ইউরোপেই আছে ৩৩০টি ফ্রাঞ্চাইজি। বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে আছে ডেলিফ্রান্সের অসংখ্য ক্যাফে ও বেকারি। তাই ঢাকাতেও যেন আর্ন্তজাতিক মান থাকে সে বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ডেলিফ্রান্স বাংলাদেশ।

লেস ব্লিউস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেলিফ্রান্স বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারি আবিদ মনসুর

লেস ব্লিউস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেলিফ্রান্স বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারি আবিদ মনসুর জানান, কোভিডের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছিলাম ক্যাফেটির যাত্রা শুরু করতে। শেষ পর্যন্ত পেরেছি, এটা বেশ আনন্দের। যখন আমরা ঢাকায় ডেলিফ্রান্স শুরুর চিন্তা করি তখন, ডেলিফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল থেকে তিনজন প্রতিনিধি ঢাকায় সাতদিনের জন্য এসেছিলেন। ঠিক কোন স্থানটিতে উপযুক্ত হবে সেটি তারা জরিপ করে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারা বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরায় বিভিন্ন স্থান দেখার পরই গুলশান এভিনিউর এই স্থানটি উপযুক্ত মনে করেছেন। যাতে ডেলিফ্রান্স ব্রান্ডটি বেশি মানুষের কাছে দ্রুত পরিচিত পায়।

গুলশানে এত এত ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, বেকারি থাকা সত্ত্বেও কেন খাদ্যপ্রেমিকরা ডেলিফ্রান্সে আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে আবিদ মনসুর বলেন, গুলশান এভিনিউকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এখানে অনেক নামীদামি ব্র্যান্ড রয়েছে। সেটা রেস্টুরেন্ট হোক বা অন্য যেকোনো ফ্যাশন ব্র্যান্ড। যদি আমরা খাবারে আর্ন্তজাতিক মান ঠিক রাখতে পারি এবং প্যারিসিয়ান স্টাইলটা খাবারে রাখতে পারি তাহলে এত এত রেস্টুরেন্ট-ক্যাফের ভিড়েও ডেলিফ্রান্স ব্রান্ডটি কোনো জটিলতা ছাড়াই সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ইতিমধ্যেই আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, বিকালে অফিসের পরের সময়টা ও সন্ধ্যায় খাদ্যপ্রেমিকরা ডেলিফ্রান্সে খেতে ও আড্ডায় আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন। এখানে স্পাইসি চিকেন স্যান্ডউইচ, চকলেট ক্রোইসস্যান্ট, আমন্ড ক্রোইসস্যান্ট, চিজ কেক, ক্যারট কেক, ক্রোইসস্যান্ট ফিল্ড উইথ ভ্যানিলা- এই খাবারগুলো সবাই বেশি পছন্দ করছেন। অন্য খাবারগুলোও দারুণ সাড়া ফেলেছে সবার মাঝে।

লেস ব্লিউস লিমিটেডের সিইও আথুলা ইয়াপা ও লেস ব্লিউস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেলিফ্রান্স বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারি আবিদ মনসুর।

লেস ব্লিউস লিমিটেডের সিইও আথুলা ইয়াপা, যিনি ৩০ বছর ধরে পৃথিবীর কয়েকটি দেশের ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। শ্রীলংকার এই নাগরিক বলেন, আমরা অধিকাংশ যন্ত্রাধি স্পেন এবং ইতালি থেকে সংগ্রহ করেছি। বেকারির মূল উপাদান যেমন ময়দা এবং মাখন আমদানি করা হয় ইউরোপ থেকে। ফ্রান্সের বেকারিগুলোতে যে ময়দা ব্যবহার করা হয়, সেটাই ঢাকার ডেলিফ্রান্সে ব্যবহার করা হয়।

আমাদের প্রধান শেফ মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন আইডিয়া ও তার নতুন নতুন ধারণা ঢাকার শেফদের সঙ্গে নিয়মিত শেয়ার করেন। প্রধান শেফের পছন্দমত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করেছেন তিনি, যাতে খাবারের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন না হয় এবং ডেলিফ্রান্সের সুনাম অটুট থাকে। আমাদের মূল কিচেন রামপুরাতে অবস্থিত। ভবিষ্যতে যদি ঢাকায় আরও আউটলেট আমরা যাত্রা করি তখন আরো একটি সেন্ট্রাল কিচেন করতে পারি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com