রোজকার নিয়মমাফিক জীবনযাপন থেকে ছুটি নিতে চায় সকলেই। মাঝেমধ্যে অনেকেই পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে আসেন। পাহাড় কিংবা সমুদ্র হলে দার্জিলিং, দিঘা ও পুরী বেশ জনপ্রিয় জায়গা। তাই এই তিনটে স্থান বছরের বেশিরভাগ সময় মানুষের ভিড় থাকে। তবে যখন বিয়ের পর দু’জন মিলে ঘুরতে যেতে চান তখন অনেক নব যুগল শান্ত, নিরিবিলি জায়গা খোঁজেন। কারণ দিঘা, পুরী, দার্জিলিং বর্তমানে প্রচুর মানুষের ভিড়। তাই সেখানে নিরিবিলি জায়গা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তবে নিরিবিলি জায়গা চাইলে যেতে পারেন হ্যাভলক দ্বীপে। এটি যেমন নিরিবিলি তেমনি কোলাহল কম। এটি আন্দামান-নিকোবরের সবথেকে বড় দ্বীপ। চারিদিকে বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। হ্যাভলক দ্বীপের নামকরণ হয়েছিল ব্রিটিশ জেনারেল স্যার হেনরি হ্যাভলক-এর নামানুসারে। এখানে সর্বমোট জনসংখ্যা ৬ হাজার। অর্থাৎ লোকবসতি যে একেবারে কম তা স্পষ্ট। এখানে নীল জলরাশি ও চারিদিকে ছোটো বড় দ্বীপের সৌন্দর্য আপনার মন ভুলিয়ে দিতে বাধ্য।
হ্যাভলক দ্বীপের সবথেকে আকর্ষণীয় জায়গা হল রাধানগর বিচ। হ্যাভলক বিচ থেকে যেতে পারবেন এলিফ্যান্টা। স্নোরকেলিং করার জন্য এই জায়গার গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া রঙিন মাছেদের ভিড়, প্রবাল প্রাচীর রয়েছে যা আপনার মনকে চঞ্চল করবেই। এরপর নৌকোয় নীল দ্বীপ যেতে পারেন। সেখানে লক্ষ্মণপুর, ভরতপুর ও সিতাপুর বিচ যাওয়া যায়। ভরতপুরে রয়েছে গ্লাসবোটম বোট রাইস করার সুযোগ। এখানে থাকার জায়গার অভাব নেই। সরকারি ও বেসরকারি সমস্তরকম সুবিধা রয়েছে।
তবে কলকাতা থেকে বুক করে যেতে পারেন। কোলকাতার সেক্টর ফাইভে রয়েছে অফিস। আন্দামান-নিকোবর পর্যটন, ৭ ডি পি ব্লক, সেক্টর-৫, সল্টলেক, কলকাতা-৭০০০৯১, ওয়েবসাইট: www.andamans.gov.in। হ্যাভলক দ্বীপ যেতে গেলে আপনি আকাশ বা জলপথে যেতে পারেন। জাহাজের টিকিট কাটার জন্য খবরের পাতায় নজর রাখবেন। হ্যাভলকে দ্বীপে যাওয়ার জন্য পোর্টব্লেয়ার-এর ফিনিক্স বে জেটিঘাট থেকে সরকারি ফেরি ছাড়ে। জাহাজে যেতে গেলে তিন থেকে চারদিন সময় লাগে। এবং আকাশপথে কয়েক ঘন্টা। তাই আপন জনের সঙ্গে একান্ত আপন সময় কাটিয়ে আসুন হ্যাভলক দ্বীপে।