বিদেশে উচ্চশিক্ষার নাম করে প্রতারণা ও কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সহস্রাধিক পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তারা বলছেন, বিগত সরকারের ছত্রছায়ায় অর্থ আত্মসাতের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলে বিএসবি গ্লোবাল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান লায়ন এমকে বাশার।
মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে জমি বিক্রি করেন মো. নাজির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। কানাডায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বিএসবি গ্লোবালকে দেন ১৯ লাখ টাকা। দিন যায় আর বিদেশ যাওয়া হয় না মেয়ের। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলে বাঁধে বিপত্তি। অনেক ঘুরে ১৬ লাখ টাকা ফেরত পেলেও বাকি টাকা তুলতে ঘুরছেন এক বছরেরও বেশি সময়।
শুধু নাজির হোসেন নয়, প্রায় এক হাজার পরিবারের গল্পই এমন। কেউ ঋণ নিয়ে আবার কেউ স্বর্ণালংকার বিক্রি করে শেষ সম্বল দিয়েছেন সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য। তবে শেষমেশ ভয়াবাহ প্রতারণার শিকার হতে হয় তাদের।
সংবাদ সম্মেলন করে বিএসবি গ্লোবালের প্রতারণার শিকার হওয়া প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে গড়ে হাতিয়ে নেয়া হয় ২০ লাখ টাকা করে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি জমা দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে আত্মসাৎ করতো বিএসবি গ্লোবাল। পরবর্তীকালে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে এবং একাধিকবার সময় দিয়েও ফেরত দেয়নি টাকা।
টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করে ন্যায্য বিচার না পাওয়ায় কয়েক দফা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগীরা। তবে সেখানেও বিএসবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে তারা বলেন, বিগত সরকারের ছত্রছায়াতেই টাকা আত্মসাতের স্বর্গ গড়ে তুলেছে বিএসবি গ্লোবাল।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম বলছেন, এক হাজার পরিবারের সঙ্গে এমন প্রতারণা চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রশাসনের উচিত এখনই আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। আর এর চেয়ারম্যান লায়ন এমকে বাশার।
Like this:
Like Loading...