বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর, এবার বোমাতঙ্ক ছড়াল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের লখনউ শহরের ১০টি বড় হোটেলে। ই-মেইল করে সেই হুমকিবার্তা পাঠানো হয়। শুধু তা-ই নয়, হোটেল কর্তৃপক্ষগুলির কাছ থেকে ৫৫০০০ ডলারও দাবি করা হয়েছে। সেই টাকা না পেলে বোমায় উড়িয়ে দেওয়া হবে হোটেল। পুলিশ সূত্রে খবর, ই-মেইলে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে ‘হোটেলের মধ্যে একটই কালো ব্যাগে রাখা রয়েছে শক্তিশালী বোমা। আমরা যদি এই বোমায় বিস্ফোরণ ঘটাই তাহলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে।
বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করলে তা নিজে থেকেই ফেটে যাবে। যদি বাঁচতে চান তাহলে আমাদের ৫৫০০০ ডলার পাঠান। জানা গিয়েছে, লখনউয়ের মেরিয়ট, সারাকা, কমফর্ট ভিস্তা, ফরচুনার মতো নামী ১০ হোটেলে পাঠানো হয় ই-মেইল। এতগুলি হোটেলে এমন ই-মেইল আসার পরই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায় কর্তৃপক্ষ। পুলিশও পদক্ষেপ নিতে দেরি করেনি। তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যে। দু’দিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে মন্দির সংলগ্ন কয়েকটি হোটেলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক দল তৈরি করে সব হোটেলের ঘর, পার্কিং, লবি সহ বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বম্ব স্কোয়াডের পাশাপাশি রয়েছে স্নিফার ডগ। পরপর এতগুলি হোটেলে হুমকি-বার্তা আসায় শহরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি তল্লাশি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানগুলিতে একের পর এক হুমকিবার্তা আসে। প্রতি দিনই কোনও না কোনও বিমানে হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। যার জেরে পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা কী ভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তারমধ্যেই এবার অপরাধীদের নিশানায় বিলাসবহুল হোটেল! প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা আতঙ্ক ছড়াতে ভুয়া ই-মেইল করেছেন কেউ বা কারা। কোথা থেকে এই ই-মেইল পাঠানো হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া