নেপালের রাস্তায় কোনো রিকশা, ভ্যান বা ঠেলাগাড়ি নেই। ধীরগতির যানবাহন তারা সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে জীবনযাত্রা অনেক গতিশীল।
বাংলাদেশের প্রায় সমান আয়তনের দেশটিতে ৩ কোটি মানুষের বেশিরভাগ শহরে বাস করে। তাদের চলাচলের বাহন পাবলিক বাস, জিপ, কার, মোটরবাইক। হাতেগোনা কিছু সাইকেল চোখে পড়ে গলির সড়কে।
নেপালের সার্বিক অর্থনীতিতে বড় সম্ভাবনার দেখা দিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি)। দুই বছর আগে শুরু হওয়া বৈদ্যুতিক যানবাহনের কারণে নেপালের পরিবহন জ্বালানির ক্ষেত্রে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে সব ধরনের বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে দেশটি। স্থলবেষ্টিত দেশ (ল্যান্ডলক কান্ট্রি) হিসেবে নেপালের কোনো সমুদ্রবন্দর নেই। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত। চীনের সঙ্গেও রয়েছে সীমান্তের একাংশ।
ফলে পেট্রল, ডিজেল, নিত্যপণ্য-খাদ্যপণ্য সবকিছুর জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল দেশটি। সম্পর্কের টানাপোড়েনে অনেক সময় এই সাপ্লাই চেন ব্যাহত হয়ে যায়। তখন বিপাকে পড়ে নেপাল। বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রবর্তন করায় অনেক সাশ্রয়ী জ্বালানিতে যানবাহন পরিষেবা অব্যাহত রাখতে পারছে নেপাল। কারণ, নেপালে নিজেদের চাহিদার চেয়েও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রয়েছে।