বিনোদনের নামে ভেপ বা ই-সিগারেট (ইলেকট্রিক সিগারেট) নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ভ্য়াপিংয়ের মাধ্যমে নিকোটিন গ্রহণ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ায় নিকোটিন ভেপ কিনতে ইতিমধ্যেই প্রেসক্রিপশন লাগে। তবে বিষয়টি নিয়ে মনিটরিং খুব দুর্বল এবং কালোবাজার ই-সিগারেটে সয়লাব।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেছেন, ভেপ বা ই-সিগারেট দেশের নতুন প্রজন্মকে নিকোটিনে আসক্ত করে ফেলছে।
বাটলার জানান, বিনোদনের নামে ভেপ যেমন নিষিদ্ধ করা হবে, তেমনি বিদ্যমান পণ্যের ন্যূনতম মান বজায় রাখতে একটি মানদণ্ডও চালু করা হবে। এছাড়া ভেপ বিক্রি ফার্মেসিতে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
ভেপ নামে পরিচিত এই ইলেকট্রিক যন্ত্রে মূলত তরল আকারে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল বা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী পানি মিশ্রিত থাকে। যন্ত্রটিতে ব্যাটারির তাপে তরল নিকোটিনে ধোয়া তৈরি হয়, যা পাইপের মুখ দিয়ে শ্বাস টেনে নেন ব্যবহারকারী।
অনেকে সিগারেট বা ধুমপানের প্রবণতা কমাতে বা বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে থাকেন। তারা মনে করেন, ধুমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে।
যদিও সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিনের তুলনায় ভেপের তরল নিকোটিন কিছুটা কম ক্ষতিকর। তবে ভেপের তরলের সঙ্গে অন্যান্য কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকার কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে ই-সিগারেট ঝুঁকিমুক্ত নয়।
এই তরল নিকোটিনের ব্যবহার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন। সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, তরুণ-তরুণীদের অনেকেই বিনোদনের নামে ই-সিগারেট ব্যবহার করে পরে সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে।