বর্তমানে শ্রমবাজার সৌদিকেন্দ্রিক
বাংলাদেশের জন্য বর্তমানে একমাত্র সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মুক্ত। প্রতিবছর দেশটিতে লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক যাচ্ছেন। এরপর বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া ও ওমানে গেলেও দেশ দুটির শ্রমবাজার বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে ১১টি শ্রমবাজারে কয়েক হাজার করে বাংলাদেশি কর্মী যান। বাকি শ্রমবাজারে যান নামমাত্র কর্মী। বিএমইটির তথ্য মতে, গত বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে গেছেন দুই লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৩ জন কর্মী। সেই জায়গায় চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গেছেন তিন লাখ এক হাজার ৮৮৩ জন কর্মী ।
৫টিতে বাড়ছে, কমছে ৫টিতে, সিঙ্গাপুর সমান
সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ওমান ছাড়া ১১টি শ্রমবাজারে শত থেকে হাজারের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মী যান। এই শ্রমবাজারগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, জর্দান, লেবানন, লিবিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া।
চলতি বছরের হিসাবে দেখা গেছে, এই ১১টি শ্রমবাজারের মধ্যে পাঁচটি শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আর পাঁচটি শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমেছে। সিঙ্গাপুরে গত বছরের সমপরিমাণ কর্মী গেছেন। যে পাঁচটি শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়া বেড়েছে সেগুলো হলো কাতার, জর্দান, লেবানন, লিবিয়া ও জাপান। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাওয়া কমেছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ কনসুলেট অফিসের মাধ্যমে কর্মীর ভিসা সহজ করতে হবে জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচলিত বাজারের বাইরে আমাদের বাজার হচ্ছে ইউরোপের বাজার। ইউরোপের বাজারের বড় সমস্যা, যেসব দেশ বাংলাদেশি কর্মী নেয় সেসব অনেক দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। এর ফলে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই সেখানে বিশেষ কনসুলেট অফিস করা যেতে পারে। তাহলে ইউরোপে আমাদের শ্রমবাজার পুরোদমে চালু করা যাবে।’