পর্যটনের সাথে জড়িত সবাইকে সমৃক্ত করা, দেশবাসিকে ভ্রমনে উদ্ভুদ্ধ করতে পর্যটন কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটন শিল্প বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। পর্যটনের সম্ভাবনা এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।
পর্যটনকে অবলম্বন করে যে কোন দেশ তার সম্ভাবনাকে ক্যাশ করতে পারে। তার বড় প্রমান আমাদের পাশের দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, নদী, অভয় অরন্য লেক, সমুদ্র সৈকত পর্যটনে অফুরন্ত সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিদেশি পর্যটক টানতে পারি।
আমাদের রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সাগর বেষ্টিত প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। আছে মহেশখালি, কুতুবদিয়া এবং নিঝুম দ্বীপ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সহ রয়েছে প্রায় দুইশত নদী। তাইতো বাংলাদেশ রিভাইরন ট্যুরিজমের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
কাপ্তাই লেক, ফয়েজ লেক এবং মাধবপুরের লেকের যথাযথ উন্নয়ন করা হলো এগুলো হতে পারে বিশ^ মানের লেক। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, মৌলভিবাজার নেত্রকোনার পাহাড়গুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য ইতিমধ্যে দেশি বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের অভয় আশ্রম। লাউয়াছড়া, মধুপুর পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। তাইতো ইকোপার্ক গড়ে উঠেছে সীতাকুন্ড, আলুটিলা, কুয়াকাটা, টিলাগড়, মাধবকুন্ড এবং দুল হাজারিতে গ্রাম বাংলার সহজ সরল মানুসের অতিথিয়েতা বাংলাদেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অতিথিপরায়ন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, ওয়ারি বটেশ^র এবং ময়নামতি আন্তার্জাতিক মানে প্রত্মতাত্বিক নিদর্শন নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। স্থাপত্য শৈলির মধ্যে রয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদ, লালবাগ দুর্গ, ছোট ও বড় কটরা জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ , ভাষা স্মৃতিসৌধ তিন নেতার মাজার এবং টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর মাজার।
আমাদের ভাষা আন্দোলনের দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়। নিজ ভাষার জন্য আর কোন জাতিকে প্রান দিতে হয়নি। হাজার বছরের ঐতিহ্য লালিত ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, পহেলা বৈশাখ, মেলা,লাঠিখেলা, সাপ খেলা, লোকসংগীত খুবই সমাদ্রিত। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভাষাআন্দোলনে, শিল্প সাহিত্যে, ধর্ম চর্চার এমনকি ক্রীড়াজগতে আমাদের অর্জন অনেক। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হলেও ধর্ম চর্চায় এগিয়ে থাকার কারনে এখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ধর্মের সবাই মুসলমানদের সাথে সহ অবস্থান রয়েছে। এখানে সব ধর্মের লোকেরাই সমানভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে। ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়। এছাড়া বিশ^ এস্তেমার কারনে বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশস্থল হচ্ছে ঢাকা।
খেলাধুলা বিশেষ করে ক্রিকেটে আমাদের টাইগাররা আন্তর্জাতিকভাবে আসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে।আন্তর্জাতিক ভ্রমনকারিদের জন্য এখন শাস্ত্রয়ী মূল্যে ভ্রমন এবং অবসর যাপনের গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ। আদিবাসিদের জীবন ব্যবস্থা, স্থায়ীকয়তা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা বিদেশি পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষন করছে। তাই পর্যটনের সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।