পর্যটকদের সুবিধার জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করতে যাচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য সিকিমের সরকার। ওই রাজ্যের ছয়টি জেলায় হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছয়টি হেলিকপ্টার নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মূলত পর্যটকদের জন্য। তবে প্রয়োজনে অন্যরাও যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
সিকিমে প্রায়ই ধস নামে। যে কারণে পর্যটকদের বিপাকে পড়তে হয়। ওই রাজ্যে বর্ষাকালে ধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কয়েকদিন আগেই ধস নামে রংপো থেকে গ্যাংটক যাওয়ার রাস্তায়। তার কিছুদিন আগে ধস নামে নাথুলা এবং ছাঙ্গু লেক যাওয়ার রাস্তাতে। এছাড়াও শীতের সময়ে প্রবল তুষারপাতে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সেই সময়েও বিপাকে পড়তে হয় পর্যটকদের। তাদের দীর্ঘসময় আটকে থাকতে হয়।
এবার এ সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া এবং সিকিমের পর্যটনে আরও গতি আনার জন্য সেখানে হেলিকপ্টার চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, সিকিমে প্রায় ১৬টি হেলিপ্যাড আছে। কিন্তু এগুলো পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত নয়। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিকিমের পর্যটন দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব এমএল শ্রীবাস্তব জানান, এ কারণে তারা ১২ সিটার হেলিকপ্টার লিজে নিতে চাইছেন। তিনি জানান, পর্যটকদের সুবিধার জন্য ছয়টি হেলিপ্যাড তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এজন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আরেকদিকে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার বিমান চলাচল শুরু হতে চলেছে সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দর থেকে।
সিকিমের পর্যটন দপ্তর জানিয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে এই বিমান বন্দরের সঙ্গে কাঠমান্ডু ও ঢাকাকে যুক্ত করতে। সিকিমের পর্যটন দপ্তরের ওই কর্মকর্তা জানান, সেখানে পর্যটকদের সুবিধার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেখানের ১৭টি ‘ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার’ উন্নত করা হচ্ছে। সেখানে আরও বেশি কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও ১০০০টি মেগা হোম স্টে করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা। সিকিমের পর্যটন দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব বলেন, এগুলো এখানের গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
সিকিমের পর্যটন দপ্তর জানিয়েছে, সেখানের ইয়াঙ্গাং এলাকার ভালেধুঙ্গাতে একটি স্কাই ওয়াক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে খুব শিগগিরই সিকিমে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতেই এই রাজ্যে চলতে পারে ট্রেন। তখন আরও বেশি পর্যটক আসবে বলেও আশা কর্মকর্তাদের।