পর্তুগাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) শুক্রবার (৩০ জুন) ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷
তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিয়মিতকরণের আওতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছেন ভারতীয়রা। দেশটির দুই হাজার ৯৩৫ জন নাগরিক চলতি বছর বৈধতা পেয়েছেন।
২০২২ সালে দেশটিতে বসবাসকারী বৈধ ভারতীয় অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৪১৬ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম৷ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দুই হাজার ৪০৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি পর্তুগালে নিয়মিত হয়েছেন। গত বছর পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৬৮ জন বাংলাদেশি একটি বৈধ রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে পর্তুগালে অবস্থান করছিলেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে নেপাল। দেশটির অভিবাসীরা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে সংখ্যায় কম হলেও পর্তুগালে তারা পাকিস্তান ও শ্রীলংকার নাগরিকদের পেছনে ফেলেছেন।
নেপালের দুই হাজার ২৬ জন অভিবাসী চলতি বছর নিয়মিতকরণের আওতায় বৈধ হয়েছেন। এছাড়া ২০২২ সালে বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের পরিসংখ্যানে ভারতের পরেই নেপালের নাগরিকদের অবস্থান। ২০২২ সালে মোট ২৩ হাজার ৮৩৯ জন বৈধ অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ছিল নেপাল।
চলতি বছর এক হাজার ৪৪৫ জন অভিবাসী নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে পাকিস্তানের অভিবাসীরা। ২০২২ সালে মোট ১০ হাজার ৮২৮ জন পাকিস্তানি বৈধ হিসেবে পর্তুগালে অবস্থান করছিলেন।
সর্বশেষ, চলতি বছর ১৪ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিয়মিত হয়েছেন। গত বছর দেশটিতে মোট ১২৯ জন নিয়মিত শ্রীলঙ্কান অভিবাসী বসবাস করছিলেন।
পর্তুগালের অভিবাসন আইন অনুযায়ী কাজের মাধ্যমে বৈধতা পেতে পারেন অনিয়মিত অভিবাসীরা। ২০২১ ও ২০২২ সালে সব শর্ত মেনে আবেদন করা ব্যক্তিদের বড় একটি অংশ প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এখনও বৈধতার অপেক্ষায় আছেন। তবে জটিলতা কমানোর জন্য চলতি বছরের শুরুতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷
এসএইএফ নামে পরিচিত পর্তুগিজ সরকারের এই দপ্তরটি এর আগে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছিল, “ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২২ সালে প্রবর্তিত আইনি পরিবর্তনগুলো মেনে চলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার বিদেশি নাগরিকদের রেসিডেন্স পারমিট প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নতুন মডেলও তৈরি করেছে।”
এই উদ্যোগের আওতায় অপেক্ষায় থাকা প্রায় তিন লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যত দ্রুত সম্ভব বৈধতা দিতে চায় পর্তুগাল সরকার।