আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর কৃত্রিমতার এই যুগে অবশেষে নিউইয়র্কের কফি শপে চলে এল রোবট। এখন আর কোনো তরুণীর কোমল করতলের ছোঁয়া পড়বে না কোনো কফি কাপে বা এসপ্রেসো বা ক্যাপুচিনো অথবা ল্যাটের কাপে। তার পরিবর্তে অর্ডার মোতাবেক রোবট কফি সার্ভ করবে। আপাতত কেবল কফি সার্ভ করলেও তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তার পূর্বাভাস দিচ্ছেন প্রযুক্তি বিশারদরা। মানুষবিহীন কিন্তু মানুষের মত পৃথিবীর জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা উঠেপড়ে লেগেছেন।
হ্যাঁ কুইন্সের কফিশপটির নাম বটবার অর্থাৎ রোবটবার। সংক্ষেপে বটবার করা হয়েছে। এর অবস্থান কুইন্স আর ব্রæকলীনের সীমান্তে গ্রিনপয়েন্টে। একজন সাংবাদিক এই বটবারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তার প্রতিবেদনে। তিনি লিখছেন, আমি বটবারে গেলে একজন স্টাফ উষ্ণ আতিথেয়তায় আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বটবারের ম্যানেজারের সাথে। আমি অপেক্ষা করার আগেই ৬ ফুট দীর্ঘ একটি রোবট এগিয়ে এল। আমার যেমন ধারণা ছিল রোবটটি তার চেয়ে দীর্ঘ। সে এসে কাউন্টারটপে বসল। তার রং সাদা, শরীর মসৃণ, শরীর অনেকটা ডিম্বাকৃতির। দেখতে অন্য রকম লাগলেও ভাল লাগল। আমি ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলাম, কাকে অর্ডার দেব। ম্যানেজার বললেন, কেন রোবটকে! রোবট তোমার সাথে ইন্টার্যাক্টও করতে পারবে। সে তোমার জন্য কফি বানিয়ে সার্ভ করবে। হ্যাঁ রোবটের নাম এডাম।
আমি আইসড ক্যাপুচিনো অর্ডার দিলাম ওট মিল্কসহ। কিন্তু ওট মিল্ক না থাকায় যা পাওয়া যায় তার অর্ডার দিতে বলল। কিছুক্ষণ পরই এডাম তার লম্বা একহাতে আইস অন্যহাতে ক্যাপুচিনো নিয়ে এলো। সব মিলিয়ে তার ২ মিনিট লাগল।
একটি ট্রেড শোতে এডামকে পছন্দ হওয়ায় বটবারের মালিক কিনে নেন। তখন তার মাথায় আসে বটবারের কথা। তিনি গ্রিনপয়েন্টে বটবারের প্রথম কফিশপ স্থাপন করার কারণ এই এলাকায় এবং নিকটস্থ লং আইল্যান্ড সিটির ওয়াটার ফ্রন্টে বিপুল সংখ্যক তরুণ তরুণী থাকে। তারাই বটবারের কনসেপ্ট বুঝতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। এই বটবারের সাফল্যের কারণে সানফ্রান্সিসকো, লন্ডনসহ অন্য শহরে শাখা খোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
বটবারের মালিক ল্যাম বলেন, তিনি লক্ষ্য করছেন তরুণ-তরুণী ছাড়াও প্রতিদিনই অনেক পিতা-মাতা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে আসছেন বটবারে। আর এই বটবারে যিনি একবার যাচ্ছেন তিনিই সোশাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করছেন, তখনই শুরু হচ্ছে পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা।
বেশির ভাগেরই অভিযোগ, তাহলে রোবট কি কফিশপের কাজও নিয়ে নেবে?