ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে নিউইয়র্কাররাই সবচেয়ে প্রিয়। আর তাদের কাছে নিউইযর্কাররা সবচেয় বন্ধুবৎসল এবং ওয়েলকামিং। ৩০০০ হাজার ভ্রমণকারীকে জিজ্ঞাসা করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে র্যাংকিং করে দেখা গেছে নিউ ইয়র্ক সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। জরিপে সবগুলো স্টেটের চিত্র উঠে এসেছে। জরিপে গুরুত্ব পেয়েছে এখানে থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, সড়কের রুটগুলোর সৌন্দর্য, সড়ক ব্যবস্থাপনা।
নিউইয়র্কের ভ্রমণকারীরা মনে করেন এখানে ভ্রমণকালে স্থানীয়দের সাথে কোনো না কোনো ভাবে তাদের যোগাযোগ হয়ে যায়। মানুষের সাথে মানুষের একটি মিথষ্ক্রিয়া ঘটে। পথ জানতে চাইলে তারা বন্ধুসুলভ আচরনে বাতলে দেয়, হাসিমুখে স্বাগত জানায় এবং আনন্দ ভাগাভাগি করতে চায়। এছাড়াও স্থানীয়রা একটি সহায়তামূলক মনোভাব পোষণ করে। আর সে কারণে তারা ভ্রমণকারীদের মনে স্থান করে নেয়। ফলে একটা সাধারণ ট্রিপও অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।
গান্থার কিয়া সম্প্রতি এই জরিপটি চালায়। এতে ৩০০০ ভ্রমণকারী যারা প্রায়শঃই সড়কপথে বিভিন্ন স্টেটে যান তাদেরই জরিপের আওতায় আনা হয়। আমেরিকার কোন স্টেটের মানুষ বেশি বন্ধুভাবাপন্ন সেটাই জানার চেষ্টা করা হয়েছে এই জরিপে। বিশেষ করে কারা অতিথি পরায়ণ, সহায়তাপূর্ণ মনোভাবে রাখে তাদেরই খুঁজে বের করার প্রয়াশ ছিলো এতে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১ থেকে ১০ পর্যন্ত মাপকাঠিতে র্যাংকিং করতে বলা হয়। যাতে ১০ সবচেয়ে বন্ধুভাবাপন্ন হিসাবে ধরা হয়।
জরিপে দেখা যায় নিউয়র্কের পরে রয়েছে মিসৌরি যার র্যাংকিং ৭.৯। আর জাতীয় গড় র্যাংকিং ৬.৭।
নিউইয়র্কারদের আরও নানাগুন উঠে আসে এই জরিপে। তারা ডাউন-টু-আর্থ, উদারমনা এমন বিশেষণও আসে জরিপের মধ্য দিয়ে। অন্যন্য অনেক স্টেটের নামও উঠেছে এসেছে যারা ভীষণরকম কমিউনিটি অরিয়েন্টেড আর এবং ভ্রমণকারীদের সঙ্গে তারা যথেষ্ট উদার। বেশ কিছু ছোট ছোট শহর ও বড় সিটি রয়েছে এই তালিকায়। তবে কিছু কিছু স্টেট রয়েছে যার নাম তালিকার পরের দিকে এসেছে। যেমন ক্যালিফোর্নিয়া। তাদের র্যাংকিং ৫.৬। লস এঞ্জেলস, স্যানফ্রান্সিসকোর মতো সিটি গুলোতে ভীষণ গতির প্রতিযোগিতাপূর্ণ জীবনই এই পিছিয়ে থাকার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।