বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনা, গুলি ছোড়া ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের নাচের আয়োজন করলে বিয়ে পড়ানো হবে না। এমনকি ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি তাদের কারো জানাজাও পড়াবেন না আলেমরা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের খাইবার জেলার আলেমরা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার (৭ জুলাই) স্থানীয় জিরগা কাউন্সিলে (সামাজিক পঞ্চায়েত) ২৬ জন আলেমের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
সবার সম্মতিতে তারা একটি ফতোয়া প্রকাশ করেন, যেখানে সব মতের আলেমরা স্বাক্ষর করেছেন।
ওই ফতোয়ায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনা, আকাশে গুলি ছোড়া ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের নাচের আয়োজন করা হয়, ওই বিয়েতে আলেমরা কখনোই অংশগ্রহণ করবেন না। তাদের বিয়েও পড়ানো হবে না।
এতে আরও বলা হয়, যদি কোনো পরিবার এ আদেশ অমান্য করে তাহলে আলেমরা কখনোই তাদের মৃত্যুর পর জানাজাও পড়াবেন না।
এলাকাবাসীকে অনুরোধ করা হয়, তারা যেন এসব বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করেন এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শুধু আলেমরা নয়, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং আদিবাসী প্রবীণরাও ওই জিরগায় অংশ নেন।
অবশ্য ওই অঞ্চলটিতে এমন নিষেধাজ্ঞা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে লান্ডি কোটালে টেলিভিশন সেট ও বাদ্যযন্ত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
একইভাবে ২০২১ সালের জুলাই মাসে হুসেইনি তেহরিক নামে একটি সংগঠন পারাচিনার এবং কুররাম জেলার শপিং সেন্টার এবং বাজারে পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল।