বনভোজন, আড্ডা, দাওয়াত কিংবা গেট-টুগেদার, উপলক্ষ যেটাই হোক না কেন বর্তমানে একটি বাক্যাংশ মুখে মুখে যা হলো ‘ওয়ান ডিশ পার্টি’। আমোদ-প্রমোদের নতুন পদ্ধতি হিসেবে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি।
ধরেন ৫ জন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করলেন আজ কোনো খোলা জায়গায় বসে পিকনিক করবেন। পিকনিকে সাধারণত কী হয়? সবাই মিলে রান্না বান্না করা। সেটির এক অন্য রকম মজা। কিন্তু রান্নাবান্না করে খেতে খেতে যেন আর সময়টি ভালো মতো আড্ডা দিয়ে, কথা বলে, গেইম খেলে কাটানো হয়ে উঠে না।
তাই এবার সিদ্ধান্ত হলো ৫ জন বন্ধু একেকজন এক একটি খাবার বাসা থেকে তৈরি করে নিয়ে আসবেন। আবার কেউ বাইরের খাবার আনারও দায়িত্ব নিতে পারেন। এরপর খাবারগুলো সাজিয়ে, আয়োজন করে বসে খাবেন আর সময়টি নানাভেবে উপভোগ করবেন। এটিই হলো ওয়ান ডিশ পার্টি। এখানে ওয়ান ডিশ বলা হচ্ছে কারণ যারা অংশগ্রহণ করবেন, তারা সবাই একেকটা খাবারের আইটেম নিয়ে আসবেন।
আজকাল কেউ বাসায় দাওয়াত দিলেও এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। দেখা যায়, যার বাসায় যাবে সে ২/৩টি মেইন আইটেম তৈরি করে। আর যারা যাবে, তাদের মধ্যে কেউ ডেসার্ট, কেউ নাস্তা, কেউবা পানীয় নিয়ে যায়।
বিকেল-সন্ধ্যার পরিকল্পনায় নাস্তার আইটেমের মধ্যেই কেউ ঝাল, কেউ মিষ্টি বা নোনতা, বিভিন্ন আইটেমের সমন্বয় করা হয়। এভাবে শুধু সময় উপভোগ করা যায় তা না, আয়োজনে একটি সমতা এবং ভিন্নতা কাজ করে।
সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লাগে যখন যার যার আনা খাবার সব একসঙ্গে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। সবাই মুখিয়ে থাকে একেকটি আইটেম টেস্ট করার জন্য। আলোচনা- সমালোচনা দিয়ে জমে উঠে মিলনমেলা বা আড্ডা।
ওয়ান ডিশ পার্টির উপযোগী কিছু খাবার
যেকোনো ধরনের খাবারই ওয়ান ডিশ পার্টির জন্য উপযোগী। বহন করে নিতে এবং অনেকজনের জন্য বানাতে যে আইটেম সুবিধার মনে হবে, সেটিই তৈরি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বে আলোচনা করে নিলে ভালো যে কে কোন আইটেম নিয়ে আসবে। এতে খাবারে পুনরাবৃত্তি হবে না। সঙ্গে সবার ইচ্ছা এবং রুচি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।