সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

ধসে পড়ার ঝুঁকিতে ভিয়েতনামের হালং বের বিখ্যাত ‘কিসিং রকস’

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

ভিয়েতনামের হালং বে পর্যটকদের খুব পছন্দের এক গন্তব্য। আর হালং বের বিখ্যাত ‘কিসিং রকস’ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আছে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

কুয়াং নিন প্রদেশের হালং বেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট ছোট কয়েক শ দ্বীপ। শুধুমাত্র ২০১৯ সালে ৪০ লাখ পর্যটক আসেন জায়গাটিতে।

উপসাগর থেকে উঠে আসা এই যমজ পাথরগুলোকে দেখে মনে হয় একটি অপরটিকে ছুঁতে কিংবা চুমু খেতে যাচ্ছে। তাই পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় পাথরদুটি ‘কিসিং রকস’ নামে পরিচিত।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জুলাইয়ে এক প্রতিবেদনে গবেষকেরা বলেছেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জেলেদের নৌকাগুলো পাথর দুটির খুব কাছ দিয়ে যাওয়ায় এগুলোর ক্ষয় হচ্ছে।

ভিয়েতনামের ইনস্টিটিউট অব জিওসায়েন্সেস অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেসের হো তিয়েন চাং বলেন, অবৈধভাবে মাছ ধরা এবং অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন পাথরগুলোর ক্ষয় বাড়াচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য গবেষণা চালানোর সময় এর কর্মীরা ছোট্ট দ্বীপটির কেবল ১৯ মিটারের মধ্যে একটি পর্যটকবাহী নৌকাকে থামতে দেখেন।

পাথরগুলোর মধ্যে গভীর ফাটল দেখতে পান গবেষকেরা। তাঁরা সতর্ক করে দেন এগুলোকে রক্ষা করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভেঙে পড়তে পারে।

গবেষকেরা বলেছেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জেলেদের নৌকাগুলো পাথর দুটির খুব কাছ দিয়ে যাওয়ায় এগুলোর ক্ষয় হচ্ছে। ছবি: ফেসবুক

গবেষকেরা বলেছেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জেলেদের নৌকাগুলো পাথর দুটির খুব কাছ দিয়ে যাওয়ায় এগুলোর ক্ষয় হচ্ছে। ছবি: ফেসবুক

‘ভাটার সময়ে পাথরগুলোর ঝুঁকির ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন’ বলেন হো তিয়েন চুং, ‘তখন জলের স্তর কম থাকায় পাথরগুলোকে সাপোর্ট দেওয়া অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন দেখা যায় ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছে পাথরগুলোর। এদের রক্ষা এবং শক্তিশালী করার জন্য কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে।’

উপসাগরের দ্বীপগুলি দীর্ঘদিন ধরে উপকূলীয় ক্ষয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোরে অন্যান্য বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রভাবগুলি মোকাবিলা করার জন্য, প্রতিবেদনটিতে উপসাগরে নতুন নিয়ম চালু করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে উপসাগরে চলাচল করা নৌকাগুলির গতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখা অন্যতম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় জেলেদের পাথরের আশপাশে মাছ ধরতে নিরুৎসাহিত করা উচিত। পাশাপাশি পাথরদুটিকে শক্তিশালী করতে ফাটলে সিমেন্ট ঢোকানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com