টানা তৃতীয় দিনেও বিশ্বের সবচেয়ে দুষিত বাতাস বইছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে। কমলাটে রঙের একটি ধোঁয়াশা ঢেকে রেখেছে নিউ ইয়র্ক সিটি তথা আশপাশের এলাকাগুলো। নিউজার্সি, কানেটিকাটের চিত্রও একই। বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার সতর্কবার্তা আবারও স্বাস্থ্যসতর্কতা জারি করেছে আর বলেছে- ট্রাই-স্টেটের এই অঞ্চলে প্রাত্যহিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে।
পাশের দেশ কানাডায় সৃষ্ট দাবানলে কারণেই এই ধোয়া ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অংশে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে দাবানল নিয়ন্ত্রণে ৬০০ দমকল কর্মীকে কানাডায় পাঠিয়েছে। দেশটির কেবেক অঞ্চলে দাবানল এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
বুধবার আবহাওয়া দুষণ সূচকে ০ থেকে ৫০০ স্কেলের মধ্যে নিউ ইয়র্কের অবস্থা ছিলো ৪৮৪। যা ১৯৬০ এর দশকের পর এই প্রথম এতটা উচ্চতায় পৌঁছালো। গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেছেন, এটি স্টেট পর্যায়ে একটা বিপর্যয়ের সামিল। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি একই রকম থাকলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে শুক্রবার থেকে সপ্তাহান্তে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হয়ে আসতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুষণের মাত্রা ১৬৩ তে নেমে আসে। এ দিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে বিশ্বের দুষিত শহরের সূচকে নিউইয়র্ক ও ঢাকা একই অবস্থানে ছিলো।
একিউআই এর হিসাব অনুযায়ী সূচকে এই মাত্রা ১৫০ ছাড়িয়ে গেলে তাকে অস্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে বুধবার এই শহরের অবস্থান ছিলো ৪৮৪।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বৃবৃতিতে বলেছেন, এই দাবানল আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আগুনের বড় ধরনের প্রভাব এসে যুক্তরাষ্ট্রে পড়েছে।
বিবৃতিতে কানাডায় এরই মধ্যে ৬০০ দমকল কর্মী পাঠানো বিষয়েও জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে বাইডেন বলেন, আগুন দ্রুত নেভানোর জন্য আরও সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তার প্রশাসন। বিশেষ করে কেবেকের আগুনের কথা উল্লেখ করেছেন বাইডেন, কারণ এখানকার আগুনের প্রভাব আমেরিকান কমিউনিটির উপরই বেশি পড়ছে।
নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুল গুলোকে শিক্ষার্থী ও স্টাফদের শুক্রবার থেকে রিমোট লার্নিংয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন এক নির্দেশনায় বলেছেন। অনেক স্কুলই এরই মধ্যে শুক্রবারে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার স্কুলগুলো এনিভার্সারি ডে হিসেবে বন্ধ রয়েছে।