ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাগত কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য।
বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বেবিচকের সদর দপ্তরে ব্রিটিশ হাই কমিশনার বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দু’দেশের এভিয়েশন খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে নিরাপত্তা বিষয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনাল ও মেইন্টেনেন্স কাজে সহযোগিতা করার বিষয়েও হাই কমিশনার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে বেবিচক জানিয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে তারা কাজ করবে।”
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে দেশে বিমানবন্দরগুলোতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে আসছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে তাদের সেবা নিয়ে বিভিন্ন সময়ই নানা প্রশ্ন উঠেছে। অদক্ষতা ও দুর্নীতের অভিযোগও কম নয়।
শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়। দৃষ্টিনন্দন এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আংশিক চালু করা হবে। তা পুরোপুরি চালু হতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে।