বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন

ত্যাগের আনন্দ নিয়ে কাল ঈদ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩
লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবার এসেছে কোরবানির ঈদ। মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা আগামীকাল বৃহস্পতিবার। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা কোরবানি দেন।

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শত ক্লান্তি মাড়িয়ে হলেও শহরের মানুষ ফেরে গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের কাছে। এরই মধ্যে অনেকে পৌঁছে গেছে। কোরবানির পশু কেনার কাজও প্রায় শেষ।

রাজধানী এখন অনেকটা ফাঁকা।কোরবানির পশু কেনা, যত্ন ও পরিচর্যা ঘিরে এখন চলছে ঈদের মূল প্রস্তুতি। ঈদের দিন ভোরে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে ঈদগাহে যাবে মানুষ। ঈদের জামাতের পর খুতবায় ইমামরা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর কোরবানির অমর কাহিনি বয়ান করবেন।

সম্মিলিতভাবে দুই রাকাত নামাজ শেষে সবার জন্য করা হবে মঙ্গল কামনা। ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারা বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হবে। জামাত শেষে কোলাকুলি করে প্রকাশ করা হবে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা। ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন। ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাংস ভাগ করে দেওয়া হয় আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও অসহায় মানুষের মাঝে।

পশু কোরবানিই ঈদুল আজহার প্রধান আনুষ্ঠানিকতা। ঈদের পরও দুই দিন পশু কোরবানি দেওয়া হয়। ঈদের আগে পশু কেনার পর পরিচর্যা করার মাধ্যমে যে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়, রাজধানীর মানুষের মধ্যে এবারও তা দৃশ্যমান।

ক্রেতারা হাট থেকে পছন্দের পশু কিনে গলায় জরির মালা, শিংয়ে রাংতা পরিয়ে বাসায় নিয়ে আসছেন। পশুর হাঁকডাক, যত্ন-আত্তি নিয়ে মানুষের ছোটাছুটি নাগরিক পরিবেশে সৃষ্টি করছে অন্য এক আবহ।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি আমাদের মধ্যে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করার আহবান জানান। তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

গত বছর এই সময়ে দেশের একটি অংশ বন্যায় আক্রান্ত ছিল। ওই অংশের মানুষের ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গিয়েছিল বানের পানিতে। তবে এবার এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com