তীব্র দাবদাহে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল। রোববার দেশটির একাধিক এলাকায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে শুরু করে ফ্লোরিডা পর্যন্ত দেশটির ১১ কোটিরও বেশি মানুষ এখন দাবদাহ সতর্কতায় রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সেবা সংস্থা (এনডব্লিউএস) মার্কিনিদের জীবনের ঝুঁকি না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা রাজ্যের ফিনিক্সে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একাধিক জায়গায় বাস্তুহারাদের ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক থেকে সেবা নিতেও দেখা গেছে। কারও কারও শরীরে চামড়ার তিন স্তর পুড়ে যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে তাপমাত্র ছিল ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৯ ফারেনহাইট)। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের কাছাকাছি (১৩৪ ফারেনহাইট)।
এনডব্লিউএস জানায়, আজ রোববার স্যান ইয়াকুইন ভ্যালি, মোজাভ মরুভূমি ও গ্রেট ব্যাসিন অঞ্চলেও রেকর্ড তাপমাত্রা ছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংস্থাটি জানায়, এই ধরনের তাপমাত্রা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুকির কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা না থাকলেও কারও কারও মৃত্যুও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপমাত্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও বেড়েছে। এনডব্লিউএস জানায়, লাস ভেগাস, নেভাডাতেও ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হতে পারে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা মার্কিনিদের সতর্ক করে দিয়ে বলছে,‘এটা সাধারণ মরুভূমির মতো তাপমাত্রা নয়, তাই এটি নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এক টুইটে তারা জানান, ‘এটা মরুভূমি, অবশ্যই তাপমাত্রাও বেশি। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এটা খুবই বিপজ্জনক।
টুইটে বলা হয়, ‘এই দাবদাহ সাধারণ কোনও মরুভূমির উচ্চ তাপাত্রা নয়। দিনে ও রাতে তীব্র গরম থাকবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, এমনকি যারা মরুভূমিতে থেকে অভ্যস্ত তারাও।
এনডব্লিউএস আরও জানায়, তীব্র গরমের কারণে আবহাওয়া বৈরি রুপ ধারণ করতে পারে, কোথাও কোথাও বজ্রপাত, ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যাও হতে পারে।