সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দুপাশের গাছগুলো কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে সূচনা হচ্ছে সিলেটবাসীর স্বপ্নের ৬ লেনের কাজের। ঠিক যেন স্বপ্নের প্রতিফলন। যে সড়ক দেশের বাইরের দেশগুলোতে দেখা যায়, সেই সড়কই দেখা যাবে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়কে।
উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং চীনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বাঁক সরলীকরণসহ অধিকমাত্রার ট্রাফিক বিবেচনায় এনে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগ নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্প সড়কটি ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট হয়ে তামাবিল পর্যন্ত ২৬৫ কিলোমিটার ৬ লেনে রূপান্তর করা হবে।
এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পে ৭৫ ভাগ অর্থ যোগান দিচ্ছে। এ কারণে টেন্ডারসহ সব প্রক্রিয়ায় এডিবি’র পরামর্শ নেয়াতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সময় বেশ লেগেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-সিলেট অংশের ১৩টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে বলে জানান, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার (নির্বাহী প্রকৌশলী) প্রকৌশলী দেবাশীষ রায়।
প্রকৌশলী দেবাশীষ রায় আরও জানান, সিলেট-তামাবিল ৬ লাইন প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কের কাজের তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি সম্পন্ন হয়েছে। আর ঢাকা-সিলেট অংশে কাজ পাওয়া বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
মূল সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত সড়কসহ প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, ৭টি ফ্লাইওভার/ওভারপাস, ৬টি রেলওয়ে ওভারপাস থাকবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলাবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।