জন্মের পর বাবা-মা মেয়ের নাম রেখেছিলেন অলকা। কিন্তু অলকা লিঙ্গগতভাবে নারী হলেও মানসিকভাবে ছিলেন আদ্যোপান্ত পুরুষ। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে বিষয়টি উপলব্ধি করেন তিনি। এরপর পুরুষ সেজেই দিন কাটছিল তার। এভাবে জীবনের ৪৭তম জন্মদিনে অস্ত্রোপচার করে পুরুষ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, রূপান্তরের পরেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়াও বাঁধলেন।
অলকা ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, শারীরিকভাবে পুরুষ হয়ে উঠবেন। তাই জন্মদিনে অস্ত্রোপচারের পর নিজেই নিজের নতুন নাম দিলেন ‘অস্তিত্ব।’
জানা গেছে, আস্থা নামে এক তরুণীকে সেই ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসতেন অস্তিত্ব। কিন্তু বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দেশের আইন। রূপান্তরের পরও জট কাটছিল না। এর মধ্যেই গত অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, রূপান্তরকামী মানুষেরা, যারা নারী-পুরুষ হিসেবে সাধারণ সম্পর্কে রয়েছেন, ভারতীয় আইন মোতাবেক তাদের বিয়েতে কোনো বাধা নেই। এরপরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন আস্থা এবং অস্তিত্ব।
তবে বিয়ের আগে পুরো পরিস্থিতি জানিয়ে ইন্দোরের ডেপুটি কালেক্টর রোশন রাইয়ের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন আস্থা ও অস্তিত্ব। সব দিক খতিয়ে দেখার পর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক আদালতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে বিয়ে সারেন দুজন।
এদিকে প্রেমিকা আস্থা জানান, অস্তিত্ব তার বোনের বন্ধু ছিলেন। সেই সূত্রে দুজনের আলাপ। খুব তাড়াতাড়ি একে অপরের মনের মানুষ হয়ে ওঠেন দুজন। সেই ভালোবাসা এতদিনে পূর্ণতা পেল।