মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

ছয় মাসে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন কমেছে পাঁচ ভাগের এক ভাগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার দেশটির অভিবাসন নীতির কড়াকড়ির ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ গত কয়েক মাসে নেয়া সীমান্ত নজরদারির কারণে অনিয়মিত উপায়ে দেশটিতে অভিবাসীদের আগমন ও আশ্রয় আবেদন কমেছে বলে জানান তিনি৷

ন্যান্সি ফেজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে অক্টোবর থেকে শুরু করে আমরা ৭০৮ জন সন্দেহভাজন চোরাকারবারি গ্রেপ্তার এবং ১৭ হাজার ৬০০ অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম ঠেকিয়েছি৷’’ শনিবার জার্মানির ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি৷

তিনি আরো জানান, এই সময়ে মধ্যে দেশটিতে আশ্রয় আবেদন পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমেছে৷ তার সরকার আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পন্ন করতে আইন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জোটের সীমান্তে যতই কড়াকড়ি আরোপ হোক না কেন, যুদ্ধ, নির্যাতন এবং মৃত্যুর হুমকিতে থাকা মানুষদের রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিষ্কার অবস্থান রয়েছে৷ দ্রুত ডিপোর্টেশন (প্রত্যাবাসন) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমাদের ব্যাপক আইনি প্যাকেজ রয়েছে৷ সেই সঙ্গে নগদ টাকার বদলে কার্ডের মাধ্যমে আমরা এখন অর্থ দিচ্ছি যার মাধ্যমে পরিষ্কার হচ্ছে যে আমরা যুদ্ধ ও সন্ত্রাস থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সহায়তা করছি এবং একইসঙ্গে এই টাকা যাতে পাচারকারীদের হাতে না যায় তা নিশ্চিত করছি৷’’

গত শুক্রবারই জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগ কার্ডের মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের সামাজিক ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত পাস করেছে৷

নতুন চুক্তি কার্যকর

সম্প্রতি পাস হওয়া নতুন আশ্রয় সংক্রান্ত অভিন্ন নীতি অনুযায়ী অভিবাসী, শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ জোটের বহির্সীমানার বাইরেই যাচাই করা হবে৷ যাদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা কম, তাদের সেখান থেকেই যত দ্রুত সম্ভব কোনো ‘নিরাপদ’ দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে৷ সেই লক্ষ্যে নতুন সীমানা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷ যারা প্রবেশের সুযোগ পাবে, ইইউ-র বিভিন্ন দেশে তাদের বণ্টন করা হবে৷

দ্রুত আশ্রয় আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেন্দ্রে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা হতে পারে৷ এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখবে তিনি সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য কিনা৷

যেসব দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অভিবাসী আগমন ঘটবে তাদেরকে জরুরি পরিস্থিতি কার্যকর করতে হবে, যাতে আশ্রয় আবেদন পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সীমান্তে তাদেরকে এখনকার চেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত রাখা যায়৷

বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া সফরে ফেজা

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুলগেরিয়া সফরে বেরিয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য বুলগেরিয়া ও তার প্রতিবেশী তুরস্কের মধ্যবর্তী সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা তার এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য৷

সেখান থেকে ফেজা রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট সফরে যাবেন৷ সেখানে রোমানিয়ার সীমান্ত পুলিশের পরিচালিত ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার৷

রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এপ্রিলের শুরুতে শেঙ্গেন জোটে প্রবেশ করেছে৷ সাধারণত শেঙ্গেনভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও এই দুই দেশে এখনই তা কার্যকর হচ্ছে না৷ অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে তাদের স্থলসীমান্তে আগের মতোই নিয়ন্ত্রণ চালু থাকবে৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com