বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই কম জন্মহারের সমস্যা চলছে। কিন্তু জাপানে সমস্যাটি তীব্র রূপ নিয়েছে। দেশটিতে গত ১৪ বছর ধরেই জনসংখ্যা কমছে। জাপানে ২০২২ সালে জনসংখ্যা রেকর্ড হারে কমে গেছে। দেশটির সরকারি তথ্য থেকে বুধবার এ কথা জানা গেছে।
বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যার দিক থেকে মোনাকোর পর জাপানের অবস্থান। দেশটির আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরিপে দেখা গেছে, গত বছর জনসংখ্যা আট লাখ ৫২৩ জন কিংবা ০.৬৫ শতাংশ কমেছে। প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে ৪৭টি অঞ্চলে জনসংখ্যা কমেছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ১৯৬৮ সালের পর কমে যাওয়ার এ গতি তীব্র রূপ নিয়েছে। ১৯৬৮ সাল থেকে সরকার জরিপ কাজ শুরু করে।
এদিকে জাপানে বিদেশী জনসংখ্যা রেকর্ড দুই লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৮ জন কিংবা ১০.৭ শতাংশ বেড়েছে যা ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ। জাপানে বিদেশীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৯ জন।
জাপানে অভিবাসন নীতি বেশ কঠোর। তবে শ্রম ঘাটতি মেটাতে দেশটি ধীরে ধীরে এসব নীতি শিথিল করছে।
জাপানের ১২ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গত বছর আট লাখেরও কম শিশু জন্ম নিয়েছে যা রেকর্ড শুরুর পর সর্বনিম্ন। এদিকে বয়স্কদের যত্নে খরচ বেড়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিশিদা গত মাসে কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে সক্ষম জনগোষ্ঠীকে সমর্থন জোরদারে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন।
এদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে চীনে জনসংখ্যা কমেছে। গত ৬০ বছরে এবারই প্রথমবারের মতো জনবহুল এই দেশটিতে জনসংখ্যা কমে। এই পরিস্থিতিতে চীনে ডেমোগ্রাফিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২২ সালে চীনা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। গত চার দশকে যা সবচেয়ে নিচে। যদিও এই পরিসংখ্যানের পেছনে জনসংখ্যার চেয়ে মহামারি করোনার ভূমিকাই বেশি।