শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন

ঘুরে আসুন ভূস্বর্গ ‘মিনি কাশ্মীর’থেকে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

পৃথিবীর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত হলো কাশ্মীর। আর প্রতিটি মানুষই জীবনে অন্তত একবার এখানে যেতে চায়। উপভোগ করতে চায় এর সৌন্দর্য। তবে আর দেরি না করে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে কিছুদিনের ছুটিতে বেরিয়ে আসুন কাশ্মীর থেকে। শুনতে অবাক লাগছে তাই তো? কাশ্মীর ভ্রমণ তাও আবার কিছুদিনের ছুটিতে! আগে অবাক হওয়ার কোনো দরকার নেই। এখানে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের কথা বলা হচ্ছে না। সেখানে যাতায়াতের খরচ অনেক এছাড়াও বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই তাঁর বদলে কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসুন উড়িষ্যার কান্ধামাল জেলায় অবস্থিত দারিংবাড়ি থেকে।

উড়িষ্যায় অবস্থিত একটি শৈলশহর হলো দারিংবাড়ি। এমনকি একে অনেকে ‘উড়িষ্যার কাশ্মীর’ বলেও ডেকে থাকেন। কথিত রয়েছে যে দারিং সাহেব তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব পেয়ে এই জায়গাটিকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছিলেন। আর তাঁর নাম থেকেই করা হয় এই জায়গাটির নামকরণ। আবার ভিন্নমতে আরও একটি তথ্য প্রচলিত রয়েছে যে স্থানীয় কুইভাষায় ‘দারিং’ শব্দের অর্থ নাকি উপত্যকা আর ‘বাড়ি’ শব্দের অর্থ ঘর। আর এই দুই মিলিয়েই তৈরি ‘দারিংবাড়ি’ বা উপত্যকার বাড়ি।

 

সাধারণত মানুষ উড়িষ্যাকে চেনে সমুদ্র সৈকত ও পুরীর জগন্নাথ মন্দির হিসেবেই। তবে এখানে আরো একটি অপরূপ সুন্দর ভ্রমণের জায়গা রয়েছে। তাই এবার উড়িষ্যার সমুদ্র অঞ্চলে ঘুরতে গেলে একবার পাহাড়, নদী,জঙ্গল ও ঝর্ণা ঘেরা দারিংবাড়ি ভ্রমণ করে আসতেই পারেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯১৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে শীতকালে তাপমাত্রা প্রায় মাইনাসে নেমে যায়। আবার কখনো কখনো দেখা মেলে তুষারপাতের। এই শহরটি পূর্বঘাট পর্বতশ্রেণীর বিভিন্ন শৃঙ্গ দিয়ে ঘেরা।

কীভাবে যাবেন?

 

উড়িষ্যার কাশ্মীর হিসেবে খ্যাত দারিংবাড়ির দুরত্ব ভুবনেশ্বর থেকে মাত্র ২৫১ কিলোমিটার। এমনকি ভুবনেশ্বর থেকেও সরাসরি দারিংবাড়ির বাস চলাচল করে। এছাড়াও বেরহমপুর স্টেশনে নেমে সড়কপথে ১২০ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এখানে।

কোথায় থাকবেন?

 

উড়িষ্যার এই শৈলশহরে বহু ছোটো-বড়ো হোটেল ও ফরেস্ট বাংলো রয়েছে। সেখানে থাকার ও খাবার সু বন্দোবস্ত রয়েছে। এছাড়াও দারিংবাড়ির কাছে রয়েছে ফুলবনী নামক একটি গ্রাম। বহু পর্যটক এই গ্রামে থেকে শহরটিকে ঘুরে দেখেন।

কী দেখবেন?

শৈলশহর দারিংবাড়িতে ঘুরে দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে। নিরিবিলি এই পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে শুনতে পাবেন বিভিন্ন রকম জলপ্রপাতের স্নিগ্ধ ছন্দ। এদের মধ্যে পুতুদি জলপ্রপাত সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয়। এর কাছেই রয়েছে দুলুরী নদী। এছাড়াও এখানে রয়েছে হিল ভিউ পার্ক ও কফি গার্ডেন। শান্ত পাহাড়ের কোলে বসে থাকলে শুনতে পাবেন পাখির কলকূজন। পাশাপাশি রয়েছে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থাও।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com