শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে সমুদ্র সৈকত থেকে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

বাঙালির কাছে কলকাতার কাছাকাছি সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়া মানেই দীঘা (Digha), পুরী (Puri) আর নাহলে মন্দারমনি (Mandarmani) । কিন্তু এইসব জায়গায় যেতে যেতে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এই সমুদ্র সৈকতগুলির ভিড় অনেকের কাছেই এখন ক্লান্তিদায়ক। কিন্তু যারা শান্ত ও মনোরম সমুদ্র সৈকত চাইছেন তারা যে কোন সময় সপ্তাহন্তে ছুটির জন্য বেছে নিতে পারেন উড়িষ্যার (Odisha) ধুবলাগাড়ি (Dublagadi)। এই সৈকতে তেমন একটা ভিড় দেখা যায় না।

বলা বাহুল্য, পর্যটক কম আসায় তেমনভাবে হোটেল নেই এই জায়গায়। অনেকেই জায়গাটার নামও শোনেননি। তাই এই জায়গায় আনাগোনা কম পর্যটকদের। শহর থেকে মাত্র চার-পাঁচ ঘন্টার মধ্যে এই জায়গায় আপনি ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন। ধুবলাগাড়ির ঝাউবন ওড়িশায় বিখ্যাত। একটা সময়ে নাকি দিঘা থেকে এই ঝাউবন দেখা যেত। দিঘার হোটেলের ভিড়ে সেই সব আর চোখে পড়ে না। সৈকতের অনেকটা জুড়ে রয়েছে ঝাউবন। সৈকতের বিস্তারও অনেকটা।

ধুবলাগাড়ি গাড়ি করে যেতে হলে আপনাকে কোলাঘাট হয়ে যেতে হবে। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে আপনাকে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে হবে। খড়গপুর, কোলাঘাট পার করে হলদিপদা হয়ে আপনাকে এগোতে হবে ধুবলাগাড়ির দিকে। মাঝপথে যেকোনও দোকান থেকে আপনি লাঞ্চ সেরে নিতে পারেন। তবে, জানিয়ে রাখা ভালো, ধুবলাগাড়িতে বিশেষ কোনও হোটেল নেই। কয়েকটি নেচারসক্যাম্প রয়েছে। থাকা, খাওয়া নিয়ে খরচ হতে পারে ১৫০০ টাকা। আগে থেকে এই জায়গায় ফোন করে বুক করে নিলে ভালো হয়।

Dublagadi

বালাসোর থেকেও আপনি আসতে পারেন ধুবলাগাড়ি। ট্রেনে বালাসোর নেমে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসা যায়। ভোরবেলা আপনি এই জায়গা থেকে দেখতে পারবেন অপূর্ব সূর্যোদয়। ঝাউবন বিস্তার করে আছে সৈকতের বেশ খানিকটা বুক। ঝাউবনে অনেক নাম না জানা পাখি। একদিকে সমুদ্র আর একদিকে নির্জনতা দুইয়ে মিলে অসাধারণ কাটবে। আসলে, যারা নির্জনতা পছন্দ করেন তাদের জন্য এই জায়গা স্বর্গ সমান। তাই আপনি চাইলেই কলকাতা থেকে মাত্র ৪ ঘন্টার দূরত্বে থাকা এই বিচ থেকে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com